
তিরুবনন্তপূরম: নিখুঁত পারফরম্যান্স। এ ছাড়া আর কী বলা যায়! সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে তরুণ দল নামিয়েছে ভারত। অজি দল অনেক বেশি অভিজ্ঞ। বিশাখাপত্তনমে প্রথম ম্যাচে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। তিরুবনন্তপূরমে টস জিতে অ্যাডভান্টেজ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচে বৃষ্টি এবং শিশিরের সম্ভাবনা ছিল। বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তেমনই শিশিরের প্রভাবকে বাধা হতে দেয়নি ভারতীয় শিবির। প্রথমে ব্যাট করায় ভারতের প্রয়োজন ছিল বিশাল স্কোরের। সেটাই হল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের পঞ্চম সর্বাধিক স্কোর গড়ল টিম ইন্ডিয়া। টপ থ্রি ব্যাটারের হাফসেঞ্চুরি এবং রিঙ্কু সিংয়ের অনবদ্য ইনিংস। বোলাররা দায়িত্ব পালন করেন। ৪৪ রানের বিশাল জয়ে সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল ভারত। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রথমে ব্য়াট করা সহজ ছিল না। তবে ঋতুরাজের অ্যাঙ্কর ইনিংস এবং যশস্বীর বিধ্বংসী ব্যাটিং ভারতের ভিত মজবুত করে। ঋতুরাজের ভূমিকা ছিল একদিক আগলে রাখা। যশস্বী অর্ধশতরানের পর ফিরতে ক্রিজে প্রবেশ ঈশান কিষাণের। কিছুটা সময় নিয়েই হাত খুলতে শুরু করেন ঈশান। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। ভারতীয় ইনিংসে স্মরণীয় ব্যাটিং রিঙ্কু সিংয়ের। তিনি ক্রিজে নামতেই গ্যালারিত গর্জন। দর্শকরাও আঁচ করেছিলেন, এ বার ভরপুর বিনোদন মিলবে। ঠান্ডা মাথায় সেটাই করে দেখালেন। একের পর এক চোখ ধাঁধানো শট। ৩৪৪ স্ট্রাইকরেটে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস রিঙ্কুর। ২৩৫ রান করে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার এটি পঞ্চম সর্বাধিক স্কোর।
বিশাল রান তাড়ায় বড় জুটি গড়া প্রয়োজন ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ভারতের বোলাররা সেটাই হতে দেননি। যখনই কোনও জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে, উইকেট নিয়েছে ভারত। মাঝের ওভারে ১২ বলের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার তিন উইকেট নেয় ভারত। এতেই ম্যাচের রাশ পুরোপুরি ভারতের হাতে। রবি বিষ্ণোই টিম ডেভিডকে ফেরান। এর মধ্য়ে সবচেয়ে দামি উইকেট ছিল মার্কাস স্টইনিসের। যেটি নেন মুকেশ কুমার। পরের ওভারেই শন অ্যাবটকে ফেরান প্রসিধ কৃষ্ণ। অজি অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েড একলা পড়ে যান। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। একই ওভারে জোড়া ধাক্কা প্রসিধের। এরপর ২০ ওভার টিকে থাকাই দায় হয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার। যদিও ওয়েডের সৌজন্যে ২০ ওভার স্থায়ী হয় অজি ইনিংস। ৯ উইকেটে ১৯১ রান করে তারা। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ মঙ্গলবার।