চেন্নাই : প্রথম দু-ম্য়াচ হয়েছিল লো-স্কোরিং। চেন্নাইতে স্পিন সহায়ক পিচ এবং ব্য়াটারদের পরীক্ষা ছিল। ব্য়াটারদের পরীক্ষায় হার ভারতের। সিরিজ নির্ণায়ক ম্য়াচে ভারতের সামনে ২৭০ রানের লক্ষ্য। একটা সময় অবধি মনে হচ্ছিল, খুব সহজেই এই রান তাড়া করবে ভারত। ক্রমশ লক্ষ্য় কঠিন হয়ে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারের ওভারে পরপর বিরাট কোহলি এবং সূর্যকুমার যাদব ফেরায়। গোল্ডেন ডাক-এর হ্য়াটট্রিক করলেন সূর্য। গত দুই ম্য়াচেও প্রথম বলেই ফিরেছিলেন। বিরাট কোহলির অর্ধশতরান, হার্দিক পান্ডিয়ার ইনিংস। চালকের আসনে ছিল ভারতই। তবে ভুলের শুরুটা হয়েছিল অজি ইনিংস থেকেই। কোথায় পিছিয়ে পড়ল ভারত? ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় ওডিআই ম্যাচ রিপোর্ট বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
টসে জিতে ব্য়াটিং নিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। পিচ ব্য়াটারদের জন্য় কঠিন মনে হলেও ধৈর্যের পরীক্ষা দেন অজি ব্য়াটাররা। হার্দিক পান্ডিয়া বল হাতে অনবদ্য় পারফরম্য়ান্সে ভারতকে ম্য়াচে ফিরিয়েছিলেন। হার্দিকের তিন উইকেটে চাপে পড়েছিল অজিরা। যদিও তাদের মিডল ও লোয়ার অর্ডারও রান করল। অষ্টম উইকেটে ৪১ বলে ৪২ রান যোগ করে শন অ্যাবট-অ্যাস্টন অ্যাগার জুটি। লোয়ার অর্ডারের বিরুদ্ধে ভারতের বোলিং অস্বস্তি নতুন নয়। শেষ দিকে যোগ হওয়া এই রানগুলোই পরে চাপ তৈরি করে। ভারতের কাছেও মাথা ব্য়াথা হয়ে দাঁড়াল। শেষ অবধি অস্ট্রেলিয়াকে ৪৯ ওভারে ২৬৯ রানে অলআউট করে ভারত। তবে ২৭০ রানের লক্ষ্য়টাই ধরা ছোঁয়ার বাইরে হয়ে দাঁড়াল।
এমন রান তাড়া করার জন্য় প্রয়োজন পার্টনারশিপ। ভারতের ওপেনিং জুটিতে উঠল ৫৬ বলে ৬৫ রান। তৃতীয় উইকেটে ৬৯ রান যোগ করে বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুল। এরপরই যেন খেই হারায় ভারত। বিরাট কোহলি ৭২ বলে ৫৪ রানে ফেরেন। একটা সময় ভারতের স্কোর ছিল ১৪৬-২। সেখান থেকে ২৪৮ রানে অলআউট। ২১ রানের ব্য়বধানে হার ভারতের। ২০১৯ সালে শেষ বার ঘরের মাঠে ওডিআই সিরিজ হেরেছিল ভারত। সে বার অ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়ার কাছে। স্টিভ স্মিথের নেতৃত্বে তারই পুনরাবৃত্তি।