AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মনে এখনও বেঁচে আছে সেই ছোট্ট ছেলেটা: পন্থ

ব্যর্থতা থেকে শেখা, নিজের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন কিংবা ফিনিশারের ভূমিকা, সব প্রশ্নের অকপট উত্তর দিলেন এক ইন্টারভিউতে।

মনে এখনও বেঁচে আছে সেই ছোট্ট ছেলেটা: পন্থ
| Updated on: Jan 24, 2021 | 5:03 PM
Share

নয়াদিল্লি: ঋষভ পন্থকে (Rishabh Pant) নিয়ে চর্চা যেন শেষ হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের নায়ক তিনি। এত সাফল্য, এত প্রচারের পরও মাটিতেই পা পন্থের। প্রত্যেক সফর ও মরসুম শেষে, আর্থিক ভাবে দুর্বল জুনিয়র ক্রিকেটারদের ক্রিকেট কিট উপহার দেন পন্থ। ডনের দেশ থেকে ফেরার পরও সেই এক ছবি। তিনটি ক্রিকেট কিট ব্যাগ নিয়ে দিল্লির সনেট ক্লাবে ভারতীয় ক্রিকেটার। ব্যর্থতা থেকে শেখা, নিজের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন কিংবা ফিনিশারের ভূমিকা, সব প্রশ্নের অকপট উত্তর দিলেন এক ইন্টারভিউতে।

আরও পড়ুন: মোতেরায় দর্শক ফেরাতে মরিয়া বিসিসিআই

ব্রিসবেন টেস্ট –

২০১৯ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে সুযোগ না পাওয়াটা একটা ধাক্কা। বরাবর চাইতাম, ভারতকে জেতানোর জন্য যেন কিছু করতে পারি। ব্রিসবেনে সেই সুযোগটা পেয়ে হাতছাড়া করতে চাইনি। অস্ট্রেলিয়ায় খেলার সময় মনে হত না নিজের জন্য রান করছি। দলকে জেতানোই ছিল মূল লক্ষ্য।

সিডনি টেস্টে সেঞ্চুরি হাতছাড়া –

সেঞ্চুরি না পাওয়ার থেকেও জয় না পাওয়াটা বেশি আক্ষেপের। সিডনিতে ব্যাটিংয়ের আগে দুটি ইঞ্জেকশন এবং পেন কিলার নিতে হয়েছিল। তার পরও মাঠে নেমে মেজাজে ব্যাটিং করতে পেরেছি। সেদিন জয়ের স্বাদ না পেলেও, মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিলাম ব্রিসবেনে অজিদের হারিয়ে জয় কেড়ে নিতেই হবে।

Rishabh Pant

           অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের নায়ক ঋষভ পন্থ। (সৌজন্যে-বিসিসিআই টুইটার)

সুন্দর-পন্থ জুটি –

ওয়াশিংটন সুন্দরকে তিনি বলেছিলাম, উইকেট কামড়ে পড়ে থাকতে। সুন্দর চাইছিল ও বড় শট নেবে। দু’জন কথা বলে ঠিক করি আমি বড় শট নেব। এই বোঝাপড়াটাই দরকার ছিল। শেষের দিকে দু’জনই নিজেদের কাজটা করতে পেরেছি।

ফিনিশার পন্থ –

একজন ক্রিকেটারকে তাঁর দায়িত্ব পালনের জন্য আলাদা তকমা না দিলেও চলে। যারা আমাকে ছোটবেলা থেকে খলতে দেখেছেন তারা ভালো করেই জানেন, আমি দলকে জেতানোর জন্যই খেলি। মেনে নিচ্ছে আগের থেকে শট নির্বাচনে অনেক বেশি সচেতন হয়েছি। ব্রিসবেনে নিজেকে বারবার বাজে শট নেওয়ার থেকে আটকেছি।

মানসিক এবং টেকনিক্যাল পরিবর্তন –

গত দু’বছর ধরে অনেক পরিশ্রম করেছি। সব সময় খুশি থাকার চেষ্টা করি। আমার মধ্যে এখনও অনুর্ধ্ব-১৯ খেলা ফুরফুরে ছেলেটাই রয়েছে। শট নির্বাচনে আগের থেকে বেশি মনোযোগী হয়েছি। সবার মধ্যেই একটা সময়ের পর পরিবর্তন আসে। ছেলেবেলার কোচ তারক সিনহার সঙ্গে বরাবরই টেকনিক্যাল বিষয়ে আলোচনা করেছি।