অজিদের স্লেজিংকে পাত্তাই দিইনি, বলছেন শার্দূল
সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে বোলিং বিভাগ সামলে দলকে ভরসা জুগিয়েছিলেন, এ বার ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠলেন শার্দূল।
ব্রিসবেন: শার্দূল ঠাকুর (Shardul Thakur) ব্রিসবেনে (Brisbane) দেখালেন, ব্যাট হাতে তিনি কী করতে পারেন। সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে বোলিং বিভাগ সামলে দলকে ভরসা জুগিয়েছিলেন, এ বার ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠলেন শার্দূল। অস্ট্রেলিয়ার আগুনে বোলিংয়ের সামনে মাথা নত না করে, রীতিমত লড়াই চালিয়ে গেলেন তিনি।
কতটা কঠিন ছিল অজিদের বোলিং ও স্লেজিং সামলানো? শার্দূলের উত্তর “অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা আমাকে স্লেজিং করার চেষ্টা করেছিল। কয়েকবার আমি উত্তর দিয়েছি। বেশির ভাগ সময় আমি ওদের এড়িয়ে গেছি।”
Maiden Test fifty for Shardul Thakur – a brilliant knock studded with eight fours and two sixes ?#AUSvIND | #WTC21 pic.twitter.com/Gihu3ORX6s
— ICC (@ICC) January 17, 2021
দীর্ঘদিন পর সপ্তম উইকেটে শার্দূল এবং ওয়াশিংটনের ১২৩ রানের পার্টনারশিপ। দু’জনের জুটি নিয়ে শার্দূল বলেছেন, “এর আগে সুন্দরের সঙ্গে খুব একটা খেলিনি। আমি আর সুন্দর একটা জিনিস ঠিক করেছিলাম, যত বেশি সময় ক্রিজে থাকব। খুব ভালো করেই জানতাম, অজিরা আমাদের তাতানোর চেষ্টা করবে। যাতে মনোঃসংযোগ হারিয়ে ফেলি।”
Two special half centuries ???? One special partnership ????
The highest 7th-wicket stand for an Indian pair at the Gabba ?️?#AUSvIND pic.twitter.com/eodDc91wZK
— BCCI (@BCCI) January 17, 2021
দলকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে বের করে আনার জন্য, ঠাকুর-সুন্দর বারবার একে অপরকে সাহস জুগিয়েছিলেন। তাঁদের পার্টনারশিপই শেষমেশ দলকে টেনে নিয়ে গেছে। ব্রিসবেনে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরানোর জন্য দরকার ছিল ওঁদের লড়াকু ব্যাটিং। ব্রিসবেন টেস্টের আগেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে শার্দূল বলেছিলেন, ” আমার নিজের ওপর বিশ্বাস রয়েছে, আমি ভাল ব্যাটিং করতে পারি। আমি যখনই সুযোগ পেয়েছি, নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেছি। শুধু সুযোগের অপেক্ষা।” সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছেন শার্দূল।
আরও পড়ুন: গাব্বায় মান বাঁচালেন সুন্দর-ঠাকুর
গ্যালারি থেকে টানা অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকদের চিৎকার শুনেও ঘাবড়াননি ঠাকুর-সুন্দর। সেই সময় কোচ রবি শাস্ত্রীর কথা বারবার মনে পড়ছিল শার্দূলের। একদিনের সিরিজ শুরু হওয়ার আগে ভারতের হেড কোচ শার্দূলকে বলেছিলেন, “তুমি দেশের হয়ে ভালো খেললে, পুরস্কৃতও হবে। মানুষ তোমার পারফরম্যান্সের প্রশংসা করবে। তোমাকে ভালোবাসবে।”
শাস্ত্রীর ওই ক’টা কথাই সুন্দর-শার্দূলের প্রেরণা হয়ে উঠেছিল ব্রিসবেনে।