INDW vs BANW: অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স বাংলাদেশের, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ ও সিরিজ টাই
India vs Bangladesh, Women's Cricket: নির্ণায়ক ম্যাচে বৃষ্টি বিরতির আগে দারুণ জায়গায় ছিল। বিরতির পর চাপের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সহজ ম্যাচ কঠিন জায়গায় চলে যায় ভারতের জন্য। শেষ অবধি টাই।
বিরতি অনেক সময়ই অস্বস্তি তৈরি করে। যেমন ভারতের জন্য করল। বাংলাদেশ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিতেছিল ভারতীয় মহিলা দল। ওয়ান ডে সিরিজে পিছিয়ে থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারত। তবে ঘুরে দাঁড়াতে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। হার দিয়ে সিরিজ শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। এ দিন নির্ণায়ক ম্যাচে বৃষ্টি বিরতির আগে দারুণ জায়গায় ছিল। মনে হয়েছিল খুব সহজেই জিতবে ভারত। কিন্তু বিরতির পর চাপের পরিস্থিতি তৈরি হয়। শেষ অবধি ২২৫ রানেই অলআউট ভারত। উচ্ছ্বাসে ভাসতে থাকে বাংলাদেশ শিবির। তৈরি হয় কনফিউশন। শেষ অবধি জানানো হয়, ম্যাচ অমীমাংসিতই। সিরিজে যুগ্মবিজয়ী ভারত ও বাংলাদেশ। ম্যাচের বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ওপেনিং জুটির দারুণ শুরু। ৯৩ রানে শামিমা সুলতানার উইকেটে জুটি ভাঙে। ৫২ রানে ফেরেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটে ইতিহাস গড়েন ফরজানা হক পিঙ্কি। মেয়েদের ওডিআইতে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেন ফরজানা। শামিমার হাফসেঞ্চুরি, ফরজানার হাফসেঞ্চুরি এবং নিগার ও শোভানার ২৪ ও ২৩ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৫ রান করে বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন করা হয়। স্মৃতির সঙ্গে ওপেনিংয়ে শেফালি ভার্মা। তিনি অবশ্য রান পাননি। তিনে নামা যস্তিকা ভাটিয়াও দ্রুত ফেরেন। ব্যক্তিগত ১ রানে স্মৃতি মান্ধানার ক্যাচ পড়ে। হাইভোল্টেজ ম্যাচে স্মৃতির মতো বড় প্লেয়ারের ক্যাচ ফেলা কত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, দেখিয়ে দিলেন স্মৃতি। হরলীনের সঙ্গে তাঁর জুটি ভারতকে ম্যাচে ফেরায়। স্মৃতি ৫৯ রানে ফিরলেও চাপে দেখায়নি ভারতকে।
বৃষ্টির আগে ৩৮ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ১৭৩-৪। তখন ৭২ বলে প্রয়োজন ৫৩ রান। ক্রিজে সেট ব্যাটার হরলীন দেওল। ৬৭ রানে ক্রিজে ছিলেন। বৃষ্টি বিরতির পর রান আউট হরলীন দেওল। সেখান থেকেই কার্যত বিপর্যয়ের শুরু। শেষ দু ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। ক্রিজে শেষ উইকেট জুটি। সেট ব্যাটার তথা গত ম্যাচের নায়ক জেমাইমা ক্রিজে। শেষ ওভারে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩ রান। বোলিংয়ে আসেন মারুফা আখতার। চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। শেষ ওভার বোলিংয়ে তিনিই। সার্কেলে অফসাইডে পাঁচজন ফিল্ডার। প্রথম বলেই সিঙ্গল নেন মেঘনা সিং। পরের বলে আরও একটা সিঙ্গল জেমাইমার। স্কোর সমান। তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে। থার্ড ম্যানে খেলার চেষ্টায় কটবিহাইন্ড মেঘনা।
এমন ম্যাচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ কবে দেখা গিয়েছিল! মনে করা কঠিন। হয়তো পুরুষদের গত বিশ্বকাপ ফাইনালকে এর সঙ্গে তুলনা করা যায়। আবার ২০১৭ মেয়েদের ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালর কথাও বলা যায়। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেতার মতো পরিস্থিতি থেকে মাত্র ৯ রানে হেরেছিল ভারত। ২৮ রানে শেষ সাত উইকেট হারিয়েছিল ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৯১-৪ থেকে ২২৫ রানে অলআউট ভারত। মাত্র ৩৪ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় ভারতীয় দল।