
একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ এবং সিরিজের সমাপ্তি। তাল কাটল নানা বিতর্কে। ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি হলে সেই ম্যাচ, সিরিজ নানা কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকে। বিতর্কও হয়। এ বারের সিরিজেও তাই। বাংলাদেশ সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও ওডিআই সিরিজ শেষ হল ভারতের। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ভারত। ওডিআই সিরিজে পিছিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ওডিআই জিতে সমতা ফেরায়। নির্ণায়ক ম্যাচে সহজ জয়ের সামনে থেকে ম্যাচ টাই। বৃষ্টির কারণে দীর্ঘ সময় ম্যাচ বন্ধ ছিল। নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় সুপার ওভার হয়নি। টাই ম্যাচ, সিরিজ অমীমাংসিত, যুগ্মবিজয়ী ভারত-বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচের পরও বহাল বিতর্কের রেশ। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ান ডে সিরিজে রুদ্ধশ্বাস লড়াই। যদিও শেষ ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। তিনি আউট হতেই ব্যাট দিয়ে উইকেটে মারেন। আম্পায়ারের দিকে কিছু বলতে থাকেন। মেজাজ হারিয়ে এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ম্যাচের পর বাংলাদেশ শিবির প্রবল হতাশ হরমনপ্রীতের আচরণ নিয়ে। ঠিক কী হয়েছে?
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি জানান, দু-দলকে নিয়ে ফটোসেশনের সময় হরমনপ্রীত বলেন, ম্যাচ তোমরা জেতোনি, আম্পায়ার জিতিয়েছে। ফটোসেশনে আম্পায়ারদেরও ডাকার কথা বলেন হরমনপ্রীত। এমনটাই দাবি বাংলাদেশ অধিনায়কের।
আম্পায়ারিং নিয়ে যে হরমনপ্রীত কতটা ক্ষুব্ধ, পুরস্কার বিতরণেই বোঝা গেল। পরিষ্কার বলেন, ‘অনেক শিক্ষা হল। আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে প্রচণ্ড হতাশ আমি। এমন আম্পায়ারিং যে হতে পারে, এরপর থেকে বাংলাদেশ আসার সময় মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকব।’ ভারতীয় দলের সহ অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা সতীর্থর পাশে দাঁড়িয়েছেন। সমস্যা মেটানোর জন্য নিরপেক্ষ আম্পায়ারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি মনে করছেন, যাই হোক না কেন, হরমনপ্রীতের মতো অভিজ্ঞ এবং আইকন ক্রিকেটারের আচরণ আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল। নিগারের কথায়, ‘ও কী করেছে, পুরোটাই ওর ব্যাপার। সেটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে একজন ক্রিকেটার হিসেবে, হয়তো একটু ভালো আচরণ করতে পারত। কী ঘটেছিল সেটা বলছি না। তবে একসঙ্গে ফটোসেশনের জন্য সেখানে থাকাটা ঠিক মনে হয়নি বলেই টিম নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। ক্রিকেট শৃঙ্খলা এবং সম্মানের খেলা।’