বার্মিংহাম: পঞ্চম টেস্টের প্রথম দিন থেকে বৃষ্টি বারবার বাধা ফেলেছে এজবাস্টনে। ভারতের (India) ৪১৬ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের (England) স্কোর ছিল ৮৪-৫। দ্বিতীয় দিন এজবাস্টনে বিরাট-বেয়ারস্টোর বাগযুদ্ধে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার পর ১৪০ বলে ১০৬ রানের ইনিংস খেলে যান জনি। তবে তৃতীয় দিন ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হল ২৮৪ রানে। ৪টি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ, ৩টি উইকেট বুমরার নামের পাশে। ২টি উইকেট পেয়েছেন মহম্মদ সামি এবং ১টি উইকেট পেয়েছেন শার্দূল ঠাকুর। ভারতের লিড ছিল ১৩২ রানের। তৃতীয় দিনেই শুরু হয়ে যায় বিরাট কোহলিদের দ্বিতীয় ইনিংস। টিম ইন্ডিয়ার প্রথম ইনিংসে ওপেনার শুভমন গিল ১৭ রান করেন, কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৪ রান। গিলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে চেতেশ্বর পূজারা রইলেন তৃতীয় দিনের শেষ অবধি। পাশাপাশি পূর্ণ করে ফেললেন হাফসেঞ্চুরিও। তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ১২৫। ক্রিজে অপরাজিত চেতেশ্বর পূজারা ৫০* রানে এবং ঋষভ পন্থ ৩০* রানে। এবং ২৫৭ রানের লিড ভারতের।
তৃতীয় দিনেই শুরু হয়ে যায় বিরাট কোহলিদের দ্বিতীয় ইনিংস। তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ১২৫। ক্রিজে অপরাজিত চেতেশ্বর পূজারা ৫০* রানে এবং ঋষভ পন্থ ৩০* রানে।
বিরাট কোহলির সঙ্গে বাগযুদ্ধের পরও জনি বেয়ারস্টো মেজাজে ব্যাট করে গেলেন। ১৪০ বলে করে গেলেন ১০৬ রান। মেরেছেন ১৪টি চার ও ২টি ছয়।
৩৫.৪ ওভারে টিম ইন্ডিয়ার দলগত শতরান পূর্ণ হল। ক্রিজে রয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা ও ঋষভ পন্থ।
৩০.৩ ওভারে স্ট্রুয়ার্ট ব্রডের বল গিয়ে লাগে চেতেশ্বর পূজারার হাতে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে আসেন ভারতীয় দলের ফিজিও। গ্লাভস খুলতেই দেখা যায় পূজারার হাত দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে।
বিরাট কোহলির উইকেট তুলে নিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। ৪০ বল খেলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলেন কোহলি। ২৯.৫ ওভারে বেন স্টোকসের বলে খোঁচা খেয়ে বিরাটের মারা বল স্যাম বিলিংসের দস্তানার দিকে চলে যায়। কিন্তু বিলিংয়ের হাত থেকে সেই বল ফস্কে যায়। তাঁর পাশেই ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক জো রুট। কোহলির ক্যাচ তালুবন্দি করতে কোনও ভুল করেননি তিনি। শুধু তাই নয়, বিরাটের উইকেট নিয়ে তাঁর মতোই ছুট্টে গিয়ে সেলিব্রেশনও করেন রুট
আক্রমণাত্মক মেজাজে কোহলি। অনবদ্য কভার ড্রাইভে রানের খাতা খোলেন। পরের ওভারে আরেকটা বাউন্ডারি।
৪৪ তম ডেলিভারিতে ফিরলেন হনুমা বিহারি। এতটা সময় ক্রিজে কাটানোর পর শট বাছাইয়ে ভুল করলেন। বল এখনও মুভ করছে। জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন হনুমা।
শুরু হল শেষ সেশন। এই সেশন ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বল ছাড়ার ক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিধায় ভুগছেন।
প্রথম ওভারেই শুভমন গিলের উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল ভারত। পরিস্থিতি সামাল দেন আরেক ওপেনার চেতেশ্বর পূজারা এবং হনুমা বিহারি। চা বিরতিতে ভারতের স্কোর ৩৭-১। সব মিলিয়ে ভারত এগিয়ে ১৬৯ রানে।
ইনিংসের দ্বিতীয় বল। জিমি অ্য়ান্ডারসনের বোলিংয়ে বাউন্ডারি মেরেছিলেন। পরের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন শুভমন গিল।
ম্যাথু পটস যেন জসপ্রীত বুমরা হতে চেয়েছিলেন। তবে পারলেন না। শ্রেয়স আইয়ারের আরও একটা জাগলিং ক্য়াচ। আম্পায়ারের সফ্ট সিগন্যাল আউট ছিল। টিভি আম্পায়ারও তাতেই সম্মতি দিলেন। ইংল্যান্ড ইনিংস শেষ ২৮৪ রানে। ভারতের লিড ১৩২ রান।
স্যাম বিলিংসকে বোল্ড করেন মহম্মদ সিরাজ। ৩৬ রানে ফেরেন তিনি। ইংল্যান্ডের নবম উইকেট আউট। এখনও পিছিয়ে ১৪৯ রানে।
কিছুক্ষণ আগে আউট হয়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো। ক্রিজে নেমে বড় শট ট্রাই করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। সিরাজের বাউন্সারে উঁচু ক্যাচ ওঠে। গ্লাভস হাতে সহজ ক্যাচ ঋষভের।
জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে এজবাস্টন টেস্টে ভারতীয় শিবিরে স্বস্তি আনলেন সামি। প্রথম স্লিপে অনবদ্য ক্যাচ নেন কোহলি। ১০৬ রানে ফেরেন বেয়ারস্টো।
টানা তিন ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের পর এবার ভারত। ট্রেন্টব্রিজ, হেডিংলির পর এজবাস্টনে ভারতের বিরুদ্ধেও শতরান জনি বেয়ারস্টোর। মাত্র ১১৯ বলে শতরাণ পূর্ণ করলেন তিনি।
লাঞ্চ বিরতির পর খেলা শুরু। প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন জনি বেয়ারস্টো। বৃষ্টিতে মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটেনি তাঁর
এজবাস্টনের আবহাওয়া কিছুটা উন্নতির দিকে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ম্যাচ শুরুর কথা।
লাঞ্চ বিরতিতে ইংল্যান্ডের স্কোর ২০০-৬। বেয়ারস্টো খেলছেন ১১৩ বলে ৯১ রানে।
বেন স্টোকস ফিরলেও অনবদ্য ব্য়াটং করছিলেন জনি বেয়ারস্টো। তাঁকে সামলাতে হিমসিম অবস্থা ভারতীয় বোলিং আক্রমণের। বেয়ারস্টোকে থামাল বৃষ্টি। আপাতত খেলা বন্ধ এজবাস্টনে। আজও হয়তো নির্ধারিত সময়ের আগেই লাঞ্চ বিরতি নেওয়া হবে।
লর্ড শার্দূল ক্যাচ ফেলেছিলেন, তিনিই ফেরালেন বেন স্টোকসকে। শার্দূলের বোলিংয়ে মিড অফে ফ্লাইং ক্য়াচ জসপ্রীত বুমরার।
স্বপ্নের ছন্দে থাকা জনি বেয়ারস্টো অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন। সামি-বুমরার ভয়ঙ্কর স্পেল, বিরাট কোহলির স্লেজিং, সব সামলে অর্ধশতরানে জনি।
লর্ড শার্দূল এ কী করলেন! সামির বোলিংয়ে বড় শট মারার চেষ্টা বেন স্টোকসের। বল অনেকটা উপরে। বলের নীচে পজিশনে ছিলেন শার্দূল। ট্র্যাডিশনাল কাপে চেষ্টা করলে হয়তো সহজ ক্যাচ হত। কিন্তু রিভার্স কাপে ক্যাচ ধরার চেষ্টায় ফসকান শার্দূল। ১৮ রানে স্টাকসকে ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া।
ভালো ডেলিভারিতেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বেন স্টোকস-বেয়ারস্টো জুটির। ভারতীয় বোলিং আক্রমণের কাছে ক্রমশ মাথা ব্যথা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই জুটি। বাউন্ডারির পাশাপাশি রানিং বিটউইন দ্য উইকেটেও দারুণ স্টোকস-বেয়ারস্টো।
বিরাট অধিনায়ক না হলেও মেজাজটা একই রয়েছে। সামির বোলিংয়ে জনি বেয়ারস্টো বিট হওয়ার পর বিরাটের সঙ্গে বাগযুদ্ধ। পরের বলেই মেজাজ হারিয়ে স্টেপ আউট করেন বেয়ারস্টো।
বুমরা-সামির একের পর এক ডেলিভারি অল্পের জন্য ব্যাটের কানায় লাগেনি। আতঙ্কের পরিস্থিতি। দারুণ লাইন লেন্থে বল করছেন সামি, বুমরা।
এজবাস্টনে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু।
এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিন নায়ক হয়ে উঠেছিলেন ভারতের উইকেটরক্ষক ব্য়াটার ঋষভ পন্থ। দ্বিতীয় দিন ব্যাটে বলে নায়ক জসপ্রীত বুমরা। তৃতীয় দিন কে! জনি বেয়ারস্টো, বেন স্টাকস! নাকি ভারতীয় পেসারদের দাপট জারি থাকবে!
বিরাট কোহলি আর অধিনায়ক নন। তবে নেতা অবশ্যই। টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডিং শুরুর সময় টিম হাডলে অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরার পাশাপাশি পেপ টক দেন বিরাট কোহলিও। তাঁর নেতৃত্বেই ইংল্যান্ড সিরিজে ২-১ এগিয়ে ভারত। মাঠেও বেশকিছু ক্ষেত্রে বুমরাকে পরামর্শ দিতে দেখা যায় বিরাটকে। তাহলে কি তাঁকে সুপার ক্যাপ্টেন বলা যায়?
ম্যাচের প্রথম দুদিন দফায় দফায় বৃষ্টি। তৃতীয় দিন এজবাস্টনের আকাশ আপাতত পরিষ্কার। প্রত্যাশা করাই যায়, নির্ধিরিত সময়েই তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হবে।