টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশের হয়ে সদ্য অভিষেক হল প্রসিধ কৃষ্ণার। আইপিএলে অতীতেও ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। তবে এই মুহূর্তে তাঁর দিকে মূলত নজর এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের জন্য। ওয়ান ডে ফরম্যাটে দেশের হয়ে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছিলেন। চোটে ছন্দপতন হয়। জসপ্রীত বুমরার মতো তিনিও দীর্ঘ সময় বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাবে ছিলেন। আয়ার্ল্যান্ড সিরিজে তাঁর পারফরম্যান্সের চেয়েও মূল নজর ফিটনেসে। প্রথম ম্যাচে সেই পরীক্ষায় উতরে গিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের দল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্বাচকদের কাজ কিছুটা হলেও সহজ হবে। কেন স্বস্তিতে থাকা যাবে প্রসিধকে নিয়ে? বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রসিধ কৃষ্ণারও অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সেখান থেকে ফেরা সহজ ছিল না। প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও আন্তর্জাতিক ম্যাচের সঙ্গে তার অনেক ফারাক। পুরনো ছন্দ এবং আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে অনেকটাই সময় লাগবে। আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শুরুটা করেন ওয়াইড ডেলিভারিতে। প্রত্য়াবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই লাইন লেন্থ নিখুঁত হবে এমনটা প্রত্যাশা না করাই শ্রেয়। তেমনই নিজের প্রথম ওভারে উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, পুরনো ছন্দে ফেরা সময়ের অপেক্ষা। তবে স্লগ ওভারে বোলিং কিছুটা অস্বস্তি দিতেই পারে। বাকি দু-ম্যাচে সেদিকেই নজর থাকবে।
স্বস্তির বিষয় নিঃসন্দেহে ফিটনেস। অনেকটাই যে উন্নতি করেছেন, বলের গতিতেই পরিষ্কার। শুরুটাই করেন ১৩০-এর বেশি গতিতে। পঞ্চম ডেলিভারিটি করেন ১৪৫ কিমি/ঘণ্টা গতিতে। প্রথম ডেলিভারিটি বাদ দিলে, এরপর কিন্তু মিডল ও অফ স্টাম্পে বল রাখতে পেরেছেন। মাঝে মাঝেই শর্টপিচ ডেলিভারিতে বিব্রত করলেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। এই ডেলিভারিগুলিই ওয়ান ডে ফরম্যাটে মাঝের ওভারে কার্যকরী ভূমিকা নেয়। দেশের জার্সিতে এখনও অবধি মাত্র ১৪টি ওডিআই খেলেছেন প্রসিধ। তবে সাদা বলের ফরম্যাটে সংক্ষিপ্ত কেরিয়ারেও ভরসা দিয়েছেন। ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়া সময়ের অপেক্ষা।