উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লেগেছিল। সঙ্গ দিয়েছিল ভাগ্যও। কিন্তু সবটাই শেষ অবধি জলে। ওয়াংখেড়ে টেস্টে আলোচনায় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ক্যাচ এবং বোলিং। অলরাউন্ডার হলেও তাঁর প্রাথমিক কাজ বোলিং। সেই দায়িত্ব নিয়ে সাময়িক প্রশ্ন উঠেছিল। মুম্বই টেস্টে তা নিয়ে অবশ্য কোনও প্রশ্ন তোলার জায়গা দেননি। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সিরিজে সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছিলেন। মিডল ও লোয়ার অর্ডারে অশ্বিন-জাডেজার মতো দুই অলরাউন্ডার থাকার কারণেই কম্বিনেশন বাছতে অনেক সহজ হয় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের। কিন্তু সব কি আর পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়? সেটা হলে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ক্লিনসুইপ হত না ভারত। ওয়াংখেড়েতে অশ্বিনকে নিয়ে আলোচনায় তাঁর উপস্থিত বুদ্ধির প্রয়োগও।
মাত্র আড়াই দিনেই শেষ ভারত-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টেস্ট। সেটা অবাক হওয়ার বিষয় নয়। তবে ১৪৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে ভারতীয় ব্যাটিং আবারও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে, সেটাই অস্বস্তির। এর মধ্যেই আশার আলো হয়ে উঠেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতীয় ইনিংসের ২৬.৩ ওভার। বোলিং করছিলেন নিউজিল্যান্ডের পার্টটাইম স্পিনার গ্লেন ফিলিপস। দক্ষতা অনুযায়ী তা ডিফেন্ডও করেন অশ্বিন। অনেকটাই বাউন্স ছিল। বল প্রথমে প্যাডে লাগে, এরপর ব্যাট। কিন্তু ব্যাটে লেগেই তা গড়িয়ে যাচ্ছিল স্টাম্পের দিকে। দ্রুত সেটা বুঝতে পেরে উপস্থিত বুদ্ধির প্রয়োগ করেন অশ্বিন। ব্যাট দিয়ে বল ট্যাপ করেন। বলের গতি কমলেও উইকেটে সামান্য ধাক্কা খায়।
অশ্বিন তাতে অবশ্য আউট হননি। কারণ, উইকেটে বলের ছোঁয়া লাগলেও বেল নড়চড় হয়নি। ফলে নটআউট অশ্বিন। ভারতীয় শিবিরের স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ২৮.৪ ওভারে সেই গ্লেন ফিলিপসের বোলিংয়েই আউট অশ্বিন। বল পড়ার পর বাউন্স অনেকটাই কম ছিল। অশ্বিন রিভার্স সুইপ খেললেও টাইমিং ঠিক হয়নি। গ্লাভস ছুঁয়ে উইকেটকিপার টম ব্লান্ডেলের শার্প ক্যাচ। অন ফিল্ড আম্পায়ার আউট দেন। অশ্বিন রিভিউ নিলে আলট্রাএজে ধরা পড়ে বল গ্লাভসে সামান্য লাগায় স্পাইক রয়েছে। ২৯ বলে ৮ রানেই ফিরতে হয় অশ্বিনকে। তাঁর উপস্থিত বুদ্ধি, ভাগ্য সবটাই জলে!