পারথ: ব্যর্থ সূর্যকুমার যাদবের লড়াই। পারথের অপ্টাস স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে হার ভারতের। প্রথম থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। ফের ব্যর্থ লোকেশ রাহুল। রোহিত-বিরাটরাও দ্রুত ফেরেন। সূর্যকুমার যাদব একাই লড়াই করলেন। ৪০ বলে ৬৮ রান। জয়ের জন্য ১৩৪ রান তাড়া করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ফিল্ডিং দুর্বলতা চোখে পড়েছে। সহজ ক্যাচ মিস করেছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা।
৫ উইকেটে ম্যাচ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি বিশ্বকাপে প্রথম হার ভারতের।
শেষ ওভারে ৬ বলে ৬ রান প্রয়োজন দক্ষিণ আফ্রিকার।
১৭.৪ ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার ত্রিস্তান স্টাবস। জয়ের জন্য ১৪ বলে ১২ রান প্রয়োজন।
মার্করাম-মিলার জুটি ভাঙলেন হার্দিক। অর্ধশতরান করেই সূর্যকুমার যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। ৪১ বলে ৫২ রান। ১৫.৩ ওভারে একশোর রানের গণ্ডি ছুঁল দক্ষিণ আফ্রিকা।
মার্করামের অর্ধশতরান। ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকালেন।
চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন দীনেশ কার্তিক। পরিবর্ত উইকেটকিপার ঋষভ পন্থ।
এইডেন মার্করামের সহজ ক্যাচ মিস করলেন বিরাট কোহলি। অশ্বিনের বলে ক্যাচ তোলেন মার্করাম। ১২ ওভার শেষ ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৬৫ রান বাভুমাদের।
১০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান দক্ষিণ আফ্রিকার।
অধিনায়ক তেম্বা বাভুমাকে ফেরালেন মহম্মদ সামি। কার্তিকের দুরন্ত ক্যাচ। পাওয়ার প্লে ওভারে ৩ উইকেট খুইয়ে ২৪ রান দক্ষিণ আফ্রিকার।
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় উইকেট। গত ম্যাচে শতরানকারী রাইলি রোসোকে শূন্য রানে ফেরালেন অর্শদীপ। ১.৩ ওভারে ২ উইকেট খুইয়ে ৩ রান দক্ষিণ আফ্রিকার।
প্রথম সাফল্য ভারতের। ওপেনার কুইন্টন ডি কক’কে ফেরালেন অর্শদীপ সিং। ১.১ ওভারে ১ উইকেট খুইয়ে ৩ রান দক্ষিণ আফ্রিকার।
দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণে ছত্রখান ভারত। উজ্জ্বল একমাত্র সূর্যকুমার যাদব। প্রোটিয়াদের দুরন্ত পেস আক্রমণ সামলে ১৩৩ রান ভারতের।
শেষ ওভারের চতুর্থ বলে রান আউট মহম্মদ সামি। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান ভারতের।
পার্নেলের বলে মহারাজের হাতে ক্যাচ দিলেন সূর্যকুমার যাদব। ৪০ বলে দুরন্ত ৬৮ রান। সূর্যের ইনিংসে লজ্জার হাত থেকে বাঁচল ভারত।
চার, ছক্কায় চেনা ছন্দে সূর্যকুমার যাদব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে দুটি ম্যাচে অর্ধশতরান করেছিলেন। এদিনও কঠিন মুহূর্তে ভারতের ইনিংসকে টেনে তোলার চেষ্টা। ১৭ ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান।
১৫ বলে ৬ রান করে ওয়েন পার্নেলের বলে আউট দীনেশ কার্তিক। ভারতের ষষ্ঠ উইকেট পড়ল। ১৫.১ ওভারে ১০১ রান ভারতের। ক্রিজে রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
চাপের মুখে দুরন্ত অর্ধশতরান সূর্যকুমার যাদবের। ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি। ১৫ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান ভারতের।
১০ ওভার শেষে ভারতের স্কোরবোর্ডে ৬০ রান। হাতে পাঁচটি উইকেট। ক্রিজে সূর্যকুমার যাদব এবং দীনেশ কার্তিক। এই জুটির উপর শেষ ভরসা ভারতীয় সমর্থকদের।
পাঁচ নম্বর উইকেট হারাল ভারত। এনগিডির বলে পুল মারার চেষ্টা হার্দিকের। বাউন্ডারি লাইনে দুরন্ত ক্যাচ রাবাডার। ৩ বলে ২ রান। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান ওঠার আগেই পাঁচটি উইকেট হারাল ভারত।
আরও একটি উইকেট হারাল ভারত। অনরিখ নর্টজের বলে শূন্য রানে আউট দীপক হুডা। ৭.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান ভারতের।
ভারতের টপ অর্ডারকে একাই ধ্বংস করলেন লুনগি এনগিডি। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে বসলেন বিরাট কোহলি। ১১ বলে ১২ রান। ৭ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান ভারতের। পারথে প্রবল চাপে ভারত।
ওপেনারদ্বয়কে হারানোর পর দায়িত্ব এখন বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবের ঘাড়ে। এনগিডির বলে পরপর বাউন্ডারি বিরাটের। নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের মতো সূর-বীর জুটির আরও একটি পার্টনারশিপের অপেক্ষায় সমর্থকরা।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতার ধারা বজায় রইল। পারথে ১৪ বলে ৯ রান করে এনগিডির বলে ফিরলেন রাহুল। এক ওভারে দুটি উইকেট হারাল ভারত। চতুর্থ তম ওভারের শেষ বলে ফেরেন রাহুল।
প্রথম ধাক্কা ভারতের। লুনগি এনগিডির আক্রমণে এসেই ফেরালেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাকে (১৫)। কট অ্যান্ড বোল্ড। ৪.২ ওভারে ১ উইকেট খুইয়ে ২৩ রান ভারতের।
তাড়াহুড়ো করতে চান না। সতর্ক ব্যাটিং লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মার। ৩ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ভারতের স্কোর ১৪।
বাঁ হাতি পেসার ওয়েন পার্নেলের ওভারে সতর্ক লোকেশ রাহুল। মেডেন ওভারে শুরু ভারতের ইনিংস।
ভারতীয় একাদশে একটিই পরিবর্তন। বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেলের পরিবর্তে দীপক হুডা। প্রোটিয়া দলে বাঁ হাতি ব্যাটারের আধিক্য। দীপক হুডাকে একাদশে নিয়ে ব্যাটিং শক্তিশালী করার পাশাপাশি অফস্পিন বোলিংয়ের আরও একটা বিকল্প খোলা থাকল। দীপক হুডা অফস্পিন করতে পারেন। তাঁকে বোলিং করানো হবে এমনটা প্রত্যাশা করাই যায়।
ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, দীপক হুডা, দীনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ সামি, অর্শদীপ সিং, রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: তেম্বা বাভুমা, কুইন্টন ডি’কক, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, রাইলি রোসো, ত্রিস্তান স্টাবস, কেশব মহারাজ, লুনগি এনগিডি, অনরিখ নর্টজে, ওয়েন পার্নেল, কাগিসো রাবাডা