
বেঙ্গালুরু: রাহুল দ্রাবিড় হেড কোচের দায়িত্ব নেওয়ার আগে টিম ইন্ডিয়ায় ফিল্ডিং কোচ ছিলেন আর শ্রীধর। রবি শাস্ত্রীর কোচিং স্টাফদের মধ্যে একমাত্র ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর এখনও রয়েছেন। দ্রাবিড়ের নিয়োগে বোলিং কোচ হন পরশ মামরে। ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে টি দিলীপ। এই নামটি শোনার পরই প্রথম প্রশ্ন আসে, জাতীয় দলের হয়ে কতগুলো ম্যাচ খেলেছেন! নামটাই যে পরিচিত নয়। টি দিলীপের আগে শ্রীধরকে নিয়েও এমন প্রশ্ন উঠত। তবে বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার অনবদ্য ফিল্ডিংয়ের পর সকলের মুখেই টি দিলীপের কথা। তাঁর সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
যুবরাজ-কাইফ-রায়নাদের পর্ব বাদ দিলে, রবি শাস্ত্রীর সহকারী শ্রীধরের সময় থেকেই বর্তমান ভারতীয় দলের ফিল্ডিংয়ে এত জোর দেওয়া হয়েছিল। ফিল্ডিংয়েও যে ম্যাচের মোড় ঘোরানো যায়, সেই তত্ত্ব আবারও গড়ে তুলেছেন জাডেজা-বিরাট কোহলিরা। দিলীপ যেন সেই পরম্পরাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সময়ে নতুন আরও একটা বিষয় হয়েছে। দলের সকলের মধ্যেই ফিল্ডিং নিয়ে একটা প্রতিযোগিতা। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই এটা দেখা গিয়েছে। ম্যাচ শেষে টিমের মধ্যে সেরা ফিল্ডার বেছে নেওয়া হচ্ছে। তাঁকে পদক পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এখানেও নতুনত্ব। কখনও স্পাই ক্যাম থেকে নেমে আসছে পদক, কখনও আবার সেরা ফিল্ডারের নাম ঘোষণা হচ্ছে গ্যালারিতে আলোর রোশনাইয়ে।
ইডেনে গত ম্যাচে ক্যামেরা বেছে নিয়েছিল সেরা ফিল্ডারকে। মনোনীত চারজনের মধ্য থেকে রোহিতকে বেছে নেয় ‘ক্যামেরা’। ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচের ‘আইডিয়া’ হয়তো কমে আসছে। সেরা ফিল্ডারের ঘোষণায় আর কী করা যায়, ক্রিকেট ফ্যানদের কাছেও নতুন নতুন আইডিয়া চেয়ে বার্তা দিয়েছেন। দিলীপের উত্থানে অবশ্য কোনও নতুনত্ব ছিল না। বরং প্রতিটা ধাপ পেরিয়ে জাতীয় দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে। যদিও শুরুটা ছিল কঠিন।
দিলীপের পরিবারের কেউই ক্রিকেটের ক্ষেত্রে তাঁকে সমর্থন করেনি। ক্রিকেট শেখার জন্য অঙ্কের টিউশন করাতেন দিলীপ। নিজের উপার্জনেই ক্রিকেট শেখা। ক্রিকেটার হিসেবে তেমন নাম করতে না পারলেও কোচিংয়ে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিভিন্ন অ্যাকাডেমিতে কোচিং করিয়েছেন। আইপিএলে ডেকান চার্জার্সে (বর্তমানে যেটা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ) সহকারী ফিল্ডিং কোচ ছিলেন।
প্রায় একদশক বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কাজ করেছেন। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে এনসিএ-তেই কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে শুভমন গিল, তিলক ভার্মা, যশস্বী জসওয়ালদের মতো ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। পরবর্তীতে ওদের পেয়েছেন সিনিয়র দলে। দ্রাবিড় জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান থাকাকালীন ভারত এ দলের সফরে দিলীপের থাকা নিশ্চিত ছিল। সিনিয়র দলের হেড কোচ হয়ে তাই সহকারী হিসেবে ভরসা রেখেছেন পুরনো সঙ্গীর ওপরই।