জিম্বাবোয়ে সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয়েছে ভারতের। শুভমন গিলের নেতৃত্বে হার দিয়ে সিরিজ শুরু হয়েছিল। দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় টিম। অভিষেক সিরিজ। স্নায়ুর চাপ থাকাই স্বাভাবিক। পরের ম্যাচ থেকে অবশ্য সেটা আর সেই অর্থে দেখা যায়নি। নেতৃত্বেও ভালো পারফরম্যান্স। তেমনই ব্যাট হাতেও। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে ভারত। শুভমন গিলকে নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এমন কথাও চলছে, আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজেও টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব তাঁর হাতেই দেওয়া উচিত কিনা। সিনিয়র স্তরে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা ছিল না শুভমন গিলের। গত আইপিএলে তাঁকে নেতা করে গুজরাট টাইটান্স। অভিষেক মরসুমে প্রশংসনীয় পারফর্ম করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই দর বাড়ছে শুভমনের। বয়স মাত্র ২৪ বছর হলেও রানের দিক থেকে যেমন এগোচ্ছেন, তেমনই সম্পত্তির দিক থেকেও।
ক্রিকেটকেই যে পেশা হিসেবে বেছে নেবেন, অনেক কম বয়সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি বাবা। ৭৫-২৫ অঙ্ক করে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ ৭৫ শতাংশ সময় ক্রিকেটে, ২৫ শতাংশ পড়াশোনায়। এমনকি স্কুলের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন শুভমনের বাবা। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিন্স শুভমনের অঙ্ক যে দুর্দান্ত হবে, সেটাই যেন প্রত্যাশিত।
শুভমন গিলের সম্পত্তির পরিমান তাঁর বয়সের দ্বিগুনেরও বেশি। আনুমানিক অন্তত ৫০ কোটির মালিক ভারতীয় দলের এই তরুণ ক্রিকেটার। তাঁর আয়ের মূল উৎস বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। এ ছাড়াও একঝাঁক ব্র্যান্ড যেমন নাইকি, জেবিএল, জিলেট, সিয়েট এমন অনেক ব্র্যান্ড এনডোর্স করেন শুভমন। ফলে সম্পত্তির দিক থেকেও ক্রমশ উন্নতির দিকে। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জেতেন শুভমন গিল। পরের বছরই জাতীয় দলে অভিষেক।
বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে গ্রেড বি-তে রয়েছেন শুভমন। বছরে তিন কোটি সেখান থেকে আসে। এ ছাড়া ম্যাচ ফি এসব তো রয়েইছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আগামী মরসুমে তাঁর দর আরও বাড়বে এ কথা বলাই যায়। জাতীয় দলেও তাঁর নিয়মিত সুযোগ পাকা, প্রত্যাশা করাই যায়। এখনও অবধি ধারাবাহিক পারফর্ম করেছেন ফলে সেই প্রত্যাশা করাই যায়।
শুধু আর্থিক দিক থেকেই নয়, বাড়ি-গাড়ির দিক থেকেও উন্নতি করেছেন শুভমন গিল। পঞ্জাবে তাঁর বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। সবটা অবশ্য প্রকাশ্যে আসে না। গাড়ির দিক থেকে তাঁর গ্যারাজে রয়েছে রেঞ্জ রোভার, মাহিন্দ্রা থাকের মতো গাড়ি। সংগ্রহে যে আরও নতুন সংযোজন হবে, বলাই যায়। সামনে আরও একটা সিরিজ রয়েছে। সেখানেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অপেক্ষায়।