কলকাতা: বিরিয়ানি (Biryani) কে না ভালোবাসে বলুন তো? উৎসব, পরব, বিয়ে, অফিস পার্টি সবেতেই মেনু ওই সুগন্ধি চাল আর তুলতুলে মাংসের সংমিশ্রণে তৈরি পদটি। তবে বিরিয়ানি খেতে অবশ্য উৎসবের প্রয়োজন পড়ে না। আমার, আপনার মতো বিরিয়ানির স্বাদে মজে দেশের ক্রিকেটাররাও। বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়ারা ভীষণ স্বাস্থ্য সচেতন। কিন্তু একটা সময় সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar), অনিল কুম্বলেরা অনায়াসে প্লেট ভর্তি বিরিয়ানি সাঁটিয়ে দিতে পারতেন! তার সাক্ষী এক প্রাক্তন ক্রিকেটার। আসলে ওই ক্রিকেটারের বাড়িতেই তৈরি হয় সুস্বাদু বিরিয়ানি। সচিন, কুম্বলে, হরভজনরা দলবেঁধে আবার কখনও একা গিয়েছেন বিরিয়ানির আমন্ত্রণ রক্ষা করতে। আঙুল চেটে খেয়েছেন। সচিন জিজ্ঞেস করেছেন, আর একটু হবে? ভাজ্জির প্লেটে বিরিয়ানির পরিমাণ এতটাই ছিল যে প্রায় পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। কোন ক্রিকেটারের বাড়িতে তৈরি হয় এমন বিরিয়ানি যার ফ্যান খোদ মাস্টার ব্লাস্টার? রইল TV9 Bangla–র এই প্রতিবেদনে।
কথা হচ্ছে ইরফান পাঠানের বাড়ির তৈরি বিরিয়ানির। ২০০৭ সালে বরোদায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল ভারতের। ম্যাচের আগে পুরো টিমকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ইরফান। সাপোর্ট স্টাফরাও ছিলেন। মেনুতে বিরিয়ানি ছাড়াও ছিল নানারকমের কাবাব, চিকেন টিক্কা। ইরফানের মায়ের হাতের সুস্বাদু বিরিয়ানি খেয়ে তাক লেগে গিয়েছিল সচিনদের। সেদিন ২৫ জনের মতো আমন্ত্রিত ছিলেন। গোটা ভারতীয় দলের জন্য একার হাতে রান্না করেছিলেন ইরফান-ইউসুফের মা। সচিনরা নাকি চেয়ে চেয়ে খেয়েছিলেন। এরপর ২০১৭ সালে অনিল কুম্বলে যখন ভারতীয় দলের কোচ তখনও ইরফানের বাড়িতে বিরিয়ানির আমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরিয়ানির প্রশংসা করেছিলেন জাম্বো।
A very happy birthday @IrfanPathan! Biryani kab khila raha hai?
— Sachin Tendulkar (@sachin_rt) October 27, 2016
২০০৭ সালে ইরফানের বাড়িতে আরও কে কে এসেছিল তা স্পষ্ট মনে নেই ক্রিকেটারের। তবে একটি ঘটনা এখনও স্পষ্ট রয়েছে তাঁর স্মৃতিতে। পঞ্জাব কা পুত্তর হরভজন সিংয়ের প্লেট উপচে পড়ছিল বিরিয়ানিতে। প্লেটে কাবার বা অন্য খাবার দেওয়ার জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। হাসতে হাসতে বরোদার ক্রিকেটার বলেন, আর একটু হলেই প্লেট থেকে বিরিয়ানি নীচে পড়ত। সেদিন মনের আশ মিটিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে হোটেলে ফিরে গিয়েছিল গোটা দল।