টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ভারতের স্টাইলে খেলার কথা। গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে জিতেছিল ভারত। নয়াদিল্লিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারত জিতেছে ৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। দিল্লিতে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পরের দিকে শিশিরের প্রভাব থাকবে জেনেই এই সিদ্ধান্ত। দ্রুত ভারতের তিন উইকেট তুলে নিয়ে ভালো কিছুরই স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু নীতীশ রেড্ডি-রিঙ্কু সিং জুটি, শেষ দিকে হার্দিকের বিধ্বংসী ইনিংস। ২২২ রানের টার্গেট দেয় ভারত। জবাবে ১৩৫ অবধিই পৌঁছতে পেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ প্রসঙ্গে যা বললেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদ।
প্রথম দু-ম্যাচ জিতে সিরিজও ২-০ নিশ্চিত করেছে ভারত। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হায়দরাবাদে। দ্বিতীয় ম্যাচেও বিশাল ব্যবধানে হারের পর বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন বলছেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই ভারত বিশ্বের সেরা। শুধু ঘরের মাঠেই নয়, যে কোনও পরিবেশ-পরিস্থিতিতেই ভারত সেরা। আমাদের তুলনায় ওরা অনেক বেশি অভিজ্ঞ এবং দক্ষ প্লেয়ার।’ তাসকিনের এই অভিজ্ঞ থিয়োরি অবশ্য খাটে না। ভারতের স্কোয়াডে একঝাঁক নতুন মুখ। তারাই কিন্তু দুরমুশ করেছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের পেসত্রয়ী তাসকিন, তানজিম সাকিব ও মুস্তাফিজুর কিন্তু পাওয়ার প্লে-তে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল ভারতকে। যদিও সেখান থেকে রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে অনবদ্য জুটিতে পরিস্থিতি সামাল দেন কেরিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে নামা নীতীশ রেড্ডি। তাসকিন আরও বলছেন, ‘পাওয়ার প্লে-তে আমরা ভালো বোলিং করেছি। তবে ওরা শেষ অবধি দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। আমাদের স্পিনাররা সেভাবে পারফর্ম করতে পারেনি। সাধারণত আমাদের এমন খারাপ পরিস্থিতি হয় না।’
যদিও তাসকিনের কোনও যুক্তিই যে কাজে আসছে না, বরং বাংলাদেশের সমর্থকরাই নেতিবাচক কথা বলছেন। তাসকিন আরও যুক্তি দিয়েছেন, শিশিরের জন্য তাঁদের স্পিনাররা ঠিকঠাক বল গ্রিপ করতে পারেননি। অথচ ভারতের স্পিনাররা যখন বোলিং করেছেন অর্থাৎ দ্বিতীয় ইনিংসে শিশিরের প্রভাব আরও অনেক বেশি ছিল। সেখানে বরুণ চক্রবর্তী, ওয়াশিংটন, রিয়ান পরাগ, অভিষেক শর্মা প্রত্যেকেই উইকেট নিয়েছেন।