Pratika Rawal: শীঘ্রই বিশ্বকাপ জয়ের পদক পাচ্ছেন প্রতীকা রাওয়াল, জয় শাহর হস্তক্ষেপেই কাটল জট
বিশ্বকাপে ভারতের মেয়েদের টিমে ১৫জন সদস্য ছিলেন। টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করার সময় প্রতীকার গলায় দেখা গিয়েছিল বিশ্বজয়ের পদক। এদিকে প্রতীকা তো সেই পদক বিশ্বজয়ের দিন পাননি। তা হলে কীভাবে তাঁর গলায় এল পদক?

কলকাতা: জয় শাহ থাকলে সবই সম্ভব… এমন কথাই ভারতীয় ক্রিকেট মহলে আলোচনা হচ্ছে। কারণটা কী? আসলে অবশেষে কাটল ‘পদক জট’। বিষয়টা একটু পরিষ্কার করা যাক। এ বারের মেয়েদের বিশ্বকাপে (ICC Women’s Cricket World Cup) শুরু থেকেই ভাল ছন্দে ছিলেন ওপেনার প্রতীকা রাওয়াল (Pratika Rawal)। কিন্তু তিনি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে চোটের কারণ টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান। যার ফলে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ওপেনিংয়ে স্মৃতি মান্ধানার সঙ্গে খেলতে দেখা যায় শেফালি ভার্মাকে। ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে। সেই দলের সদস্য হিসেবে প্রতীকার বিশ্বজয়ের পদক পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২ নভেম্বর, ভারতের বিশ্বজয়ের দিন পদক তিনি পাননি। এ বার তিনি নিজেই জানিয়েছেন, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর হস্তক্ষেপে তিনি বিশ্বজয়ের পদক পেতে চলেছেন।
বিশ্বকাপে ভারতের মেয়েদের টিমে ১৫জন সদস্য ছিলেন। টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করার সময় প্রতীকার গলায় দেখা গিয়েছিল বিশ্বজয়ের পদক। এদিকে প্রতীকা তো সেই পদক বিশ্বজয়ের দিন পাননি। তা হলে কীভাবে তাঁর গলায় এল পদক? আসলে প্রতীকাকে ওই পদক দিয়েছিলেন দলের এক সাপোর্ট স্টাফ। এই নিয়ে CNN News 18-কে এক এক্লক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে প্রতীকা জানিয়েছেন।
প্রতীকা বলেন, ‘আমাদের ম্যানেজারকে জয় শাহ মেসেজ করে জানিয়েছেন, তিনি চেষ্টা করছেন, যেন আমি পদক পাই।’ এরপরই আনন্দে আত্মহারা প্রতীকা বলেন, ‘অবশেষে আমি নিজের পদক পেতে চলেছি। যে সময় আমি পদকের বক্সটা প্রথম খুলেছিলাম, যেটা আমাকে এক সাপোর্ট স্টাফ দিয়েছিল, তখন আমার চোখে জল চলে এসেছিল। আমি সেই ধরনের মানুষ নই, যে খুব কান্নাকাটি করে। কিন্তু ওই অনুভূতিটাই অন্যরকম ছিল।’
আইসিসি চেয়ারম্যান যথাসম্ভব চেষ্টা করেছেন, যেন পদক তাড়াতাড়ি প্রতীকার কাছে পৌঁছে যায়। তবে সেটা আসতে বেশ খানিকটা সময় লাগছে। এই প্রসঙ্গে প্রতীকা বলেন, ‘জয় শাহ আমাদের জানিয়েছেন যে, তিনি আইসিসিকে জিজ্ঞাসা করেছে, তারা আমার জন্য পদক পাঠাতে পারবেন কি না। তাই ওই পদক আমার কাছে এসে পৌঁছতে বেশ কিছুটা সম লাগবে। আমাদের এক সাপোর্ট স্টাফ এখন তাঁর পদক পরতে দিয়েছে। ভাবতে বলেছে ওটা আমার নিজের। আর এ বার সত্যিই পদকটা আসছে।’
