চেন্নাই : একটা মেয়ের কাছে সবচেয়ে বড় নায়ক তাঁর বাবা। মাহি-কন্যা জিভার ক্ষেত্রেও অন্যথা নয়। চিপকে আরও একটা জয়। লো-স্কোরিং ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফের অনেকটা কাছে চেন্নাই সুপার কিংস। মাঠে যেমন ক্যামেরা ফোকাসে বেশির ভাগই থাকল মহেন্দ্র সিং ধোনি, তেমনই গ্যালারিতে কন্যা জিভা। ধোনি শুধু জিভার কাছে সবচেয়ে বড় নায়ক নন। পুরো গ্যালারি, সতীর্থ, প্রতিপক্ষ সকলের কাছেই নায়ক। সমস্ত ক্রিকেটপ্রেমীর কাছেও। ধোনি মাঠে থাকুন বা ড্রেসিংরুমে, ক্যামেরা বারবার তাঁকেই খোঁজে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে অবশ্য মাহি-কন্যাকেও এতটাই ফোকাস করা হল। চেন্নাই সুপার কিংসের সুপার ফ্যানের অভাব নেই। তবে মহেন্দ্র সিং ধোনির সবচেয়ে বড় ফ্যান যে তাঁর কন্যাই। তাই ক্যামেরা খুঁজল এই দু-জনকে। সারাক্ষণ। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
চিপকে আরও একটা ম্যাচ। ধোনি টসে আসতেই গ্যালারির আওয়াজে কিছু শুনতে পারছিলেন না। সঞ্চালকও চুপ করে রইলেন। গর্জন কিছুটা কমতেই ফের বলতে শুরু করলেন ধোনি। টস জিতে চেন্নাই ব্যাটিং নিতেই অপেক্ষা শুরু হল কতক্ষণে ধোনি নামবেন। ৩ উইকেট পড়তেই ধোনি প্যাড পড়লেন। ক্যামেরার ফোকাস তখন ড্রেসিংরুমে ধোনির দিকে। অবশেষে তাঁর নামার সময় এল। ক্যামেরা একদিকে যেমন ধোনির দিকে ফোকাস করছে, গ্যালারিতে সুপার ফ্যানের দিকে। মাহি-কন্যা। বাবা বাইশ গজে চোট নিয়ে দৌঁড়োচ্ছেন, মুখে হলুদ রঙের বাঁশি বাজিয়ে চলেছেন। ছয় মারতেই তাঁর আনন্দের মাত্রা বাড়তে থাকল। জিভার উচ্ছ্বাস বাঁধন হারা। হঠাৎই সাক্ষীর কানের কাছে বাঁশি বাজান জিভা। চমকে যান সাক্ষী। মায়ের চোখ রাঙানিও জিভাকে দমাতে পারেনি। মাহির ইনিংসই শুধু নয়, দিল্লি ইনিংসে একেকটা উইকেট পড়তেই জিভার বাঁশি বেজে উঠল। ঠিক যেন রেফারির মতো।
ম্যাচ শেষ হতে, স্ট্যান্ড থেকে নেমে এল জিভা। দৌড়ে বাবার কাছে। এতক্ষণ গ্যালারি থেকে সাপোর্ট করছিলেন, জয়ের শেষে মাহি এবং কন্যা জিভার এমন মিষ্টি মুহূর্ত কেই বা মিস করে। যাই হোক না কেন, সাক্ষীর থেকেও ধোনির বড় সুপার ফ্যান যে তাঁর কন্যা, এ বিষয়ে দ্বিমত থাকার কথা নয়। ম্যাচের আগের দিনও ফুটবলে মজেছিলেন জিভা। এ বার ‘হুইসলে’।