নয়াদিল্লি: নিজেদের শেষ ম্যাচেও মুখোমুখি হয়েছিল দুটি দল। দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Delhi Capitals vs Sunrisers Hyderabad)। এরপর আর কোনও ম্যাচ খেলেনি তারা। ফিরতি ম্যাচে ফের আমনে সামনে দুই টিম। এ বার খেলা দিল্লির ঘরের মাঠে। গত ২৪ এপ্রিল লো স্কোরিং ম্যাচে হায়দরাবাদকে ৭ রানে হারিয়ে দেয় দিল্লি। দিল্লি টেনেটুনে ১৪৪ রান তুলেছিল (IPL 2023)। ওয়াশিংটন সুন্দর এবং ভুবনেশ্বর কুমারের অনবদ্য বোলিং। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় দেড়শো রানের কম স্কোরের লক্ষ্যেও পৌঁছতে পারেনি কমলা বাহিনী। ডেভিড ওয়ার্নারদের সেটি ছিল টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জয়। আজ ঘরের মাঠে জয়ের হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে দিল্লি। প্রতিপক্ষ সেই এইডেন মার্করামের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports–র এই প্রতিবেদনে।
প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ হলে যেন বাড়তি তাগিদ কাজ করে ডেভিড ওয়ার্নারের সামনে। ছিলেন দলের ক্যাপ্টেন, হঠাৎই নেতৃত্ব যায়। সতীর্থদের জন্য জল, সরঞ্জামও বয়েছেন। এরপর টিম থেকেও বাদ পড়েন। ডেভিড ওয়ার্নার এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মুখোমুখি হলেই যেন বাড়তি কিছু চোখে পড়ে। হায়দরাবাদের টিমের সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০১৬ সালে তাঁর নেতৃত্ব চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল সানরাইজার্স। কিন্তু ২০২১ সালের আইপিএল ওয়ার্নারের থেকে অনেক কিছুই কেড়ে নিয়েছে। নেতৃত্ব এবং ব্যাটিং, দুই ভূমিকাতেই ফ্লপ ওয়ার্নার। মরসুমের মাঝেই তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরানো হয়। এরপর একাদশের বাইরে। পরের বছর আর ডেভিড ওয়ার্নারকে রিটেন করেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চলতি মরসুমে দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্যাপ্টেন তিনি।
পয়েন্ট তালিকার একেবারে শেষ দুটি স্থানে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যে দল ম্যাচ হারবে, তাদের কাছে প্লে অফের দরজা এ বারের মতো বন্ধ হয়ে যাবে এতে সন্দেহ নেই। জিতলেও যে খুব একটা সুযোগ থাকবে তাও বলা যায় না। গত ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ওয়াশিংটন সুন্দর চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন। সুন্দরের অনুপস্থিতি হায়দরাবাদের কাছে বড় ধাক্কা। ওপেনিং কম্বিনেশন নিয়ে এখনও যুঝছে হায়দরাবাদ। মরসুমের শুরুর দিকে ওপেনিংয়ে ছিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং অভিষেক শর্মা। এরপর হ্যারি ব্রুক ঢুকে পড়েন। তবে কেকেআরের বিরুদ্ধে শতরান ছাড়া তাঁর ব্যাটে রান নেই। তাঁকে ওপেনিংয়ে জায়গা দিতে গিয়ে ব্যাটিং অর্ডারে মায়াঙ্ক এবং অভিষেককে কোথায় খেলাবে তা নিয়ে বিভ্রান্ত হায়দরাবাদ টিম ম্যানেজমেন্ট।
মরসুমের প্রথম পাঁচটি ম্যাচের হারের পর দুটিতে জয়। সাত ম্যাচ পর কিছুটা ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন মিচেল মার্শ। শেষ ম্যাচে ১৫ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ওপেনিং স্পট নিয়ে সমস্যায় দিল্লি। ফিল সল্ট ওপেনিংয়ে কার্যকরী নন। তবুও ইনিংসের সূচনায় তিনিই থাকছেন। পৃথ্বী শ-কে গত ম্যাচে বাদ দিতেই হয়েছিল।