
লখনউ : পনেরো বছর আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল। ধীরে ধীরে আইপিএল (IPL) গ্রীষ্মকালীন সেরা বিনোদন হয়ে উঠেছে। কী নেই আইপিএলে? হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ, একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াই, মাঠের মধ্যে কোনও সময় ক্রিকেটারদের তর্কাতর্কি, ম্যাচ শেষে ধোনি-রোহিত-বিরাটদের কাছে তরুণ ক্রিকেটারদের ক্রিকেট পাঠ নেওয়ার পর্ব — এই সব নিয়েই তো ক্রিকেটের বিনোদনের ডালি সাজিয়েছে আইপিএল। ১৫ বছর আগে ফিরে গেলে আইপিএলের প্রথম ও চিরস্মরণীয় ঘটনা চোখে পড়বে। আইপিএলের উদ্বোধনী সংস্করণে হরভজন সিং চড় মেরেছিলেন শ্রীসন্থকে। সেই দৃশ্য আজও ভোলেনি ক্রিকেট বিশ্ব। রীতিমতো তোলপাড় করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছিল আইপিএলের প্রথম সংস্করণে। দেখতে দেখতে আইপিএলের ১৫টি মরসুম হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে চলছে ১৬তম আইপিএল। আর চলতি আইপিএলে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) ঝামেলা এমন আকার নিয়েছে, যা কার্যত ছাপিয়ে যাচ্ছে হরভজন-শ্রীসন্থের চড় কাণ্ডকে। এই পরিস্থিতিতে বিরাট-গৌতি বিবাদ নিয়ে কী বলছেন হরভজন সিং, অনিল কুম্বলে রবিন উথাপ্পার মতো ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
‘ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে গম্ভীর আর বিরাট হাত মেলানোর পর, কেউ একজন হাত ঝটকায় সরিয়ে দেন। এ বার সেটা কে করেছে আপনারা ভিডিয়োতে দেখে নিন। এরপর নবীনের সঙ্গে বিরাট হাত মেলানোর পর, ওরা বেশ কিছুক্ষণ হাত ধরে রাখেন এবং ওদের মধ্যে কিছু কথাবার্তা চলছিল। ওদের কী নিয়ে কথা হচ্ছিল তা আমরা জানি না। তবে ওদের কথাবার্তা হতে হতে ধীরে ধীরে তা ক্রমশ রাগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বেরিয়ে আসতে যাচ্ছিল।’
হরভজন এই প্রসঙ্গে নিজের সঙ্গে শ্রীসন্থের ঝামেলার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি ২০০৮ সালে শ্রীসন্থের সঙ্গে যা করেছিলাম, তার জন্য আমি লজ্জিত। বিরাট কোহলি একজন কিংবদন্তি, এই ধরণের জিনিসগুলোতে ওর জড়ানো উচিত নয়। বিরাট ও গম্ভীরের মধ্যে যা ঘটেছে তা ক্রিকেটের জন্য সঠিক নয়।’
হরভজনের মতো রবিন উথাপ্পাও এই বিরাট-গৌতম বিবাদ নিয়ে নিজের মতামত জানান। ম্যাচের শেষে সৌজন্য বিনিময়ের খাতিরে করমর্দনের সময় এমন দৃশ্য কাম্য নয়। তাঁর মতে, দু’জনই গরম মেজাজের। কিন্তু ক্রিকেটের জন্য এমন ঘটনা ঠিক নয়।
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার অনিল কুম্বলে বলেন, ‘আবেগ সকলের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু আপনার এমন আবেগ প্রকাশ্যে প্রদর্শন করা উচিত নয়। আপনি মাঠে একমত না-ই হতে পারেন, প্রতিপক্ষের দিকে তেড়ে যেতে পারেন। মুহূর্তের উত্তাপে মাঠে কিছু বলতেই পারেন। কিন্তু একবার খেলা শেষ হয়ে গেলে, আপনাকে মাঠের বিষয় ভুলে যেতে হবে। খেলাকে সম্মান জানিয়ে এটা করা উচিত। আমি জানি না ওদের মধ্যে কী কথাবার্তা হয়েছে। তবে কিছু জিনিস ব্যক্তিগত হতে পারে। তা মাঠে প্রকাশ না করাই শ্রেয়। বিরাট ও গৌতম যে ভাবে এই বিষয়টায় জড়িত ছিল, এটা বেশ দৃষ্টিকটু।’