কলকাতা : দীর্ঘ সময় পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ এ বার ফের হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে হবে। ইডেন গার্ডেন্সে হাজারো সমর্থকের সামনে খেলার সুযোগ পাবে কেকেআর। দু-বারের চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু এরপর থেকে প্লে-অফ এবং ফাইনাল অবধিই দৌড় সীমিত রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। অধিনায়ক বদলেছে, স্কোয়াডে নানা বদল হয়েছে, পরিস্থিতি বদলায়নি। এ বার কি ভাগ্য ফিরবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের? মিনি অকশনে নামার সময় সবচেয়ে কম বাজেট ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এর মধ্যেই স্কোয়াড সাজিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা। সাফল্য কতটা এসেছে বলা কঠিন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোন বিষয়গুলি শক্তি কিংবা দুর্বলতা হয়ে দাঁড়াতে পারে, বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
প্রথমই যে বিষয়টা আলোচনায় আসে, তা হল কোচ। এতদিন মূলত বিদেশি কোচ নির্ভর ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। গত আইপিএলের মাঝেই ব্রেন্ডন ম্য়াকালামের জন্য় নতুন প্রস্তাব আসে। আইপিএল শেষে ম্যাকালাম যোগ দেন ইংল্য়ান্ড টেস্ট দলের কোচ হিসেবে। অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং কোচ ম্যাকালাম। ইংল্য়ান্ড ক্রিকেটে এরপরই চালু হয় ‘বাজবল’। ম্য়াকালামের যাওয়াতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্ষতি হল কী না, বলা কঠিন। এ বার অবশ্য দেশীয় কোচের উপর ভরসা রেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে কোচ হিসেবে নিয়োগ করেছে তারা। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বি-মত রয়েছে। হয়তো কেকেআরে এটিই দুর্বলতা হয়ে দাঁড়াতে পারে কিংবা শক্তি!
ভারতীয় ক্রিকেটে চন্দ্রকান্ত পন্ডিত অতি পরিচিত নাম। তাঁর কোচিং কেরিয়ার উজ্জ্বল। তবে সেটা ঘরোয়া ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ। রঞ্জি ট্রফিতে ছ-বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দল। রঞ্জিতে তিনি যেন ম্যাজিক। বিদর্ভের ঝুলিতে একটা সময় অবধি রঞ্জি ট্রফি ছিল না। চন্দ্রকান্ত পন্ডিত যোগ দিয়ে প্রথম বারই ট্রফি দেন। গত রঞ্জি ট্রফিতেও এমনই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে। এক ঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার। ভারতীয় ক্রিকেটে যাঁদের তেমন পরিচিতি নেই। আইপিএলের সৌজন্যে দু-একজন সদ্য উঠছেন। তাদের নিয়েই মধ্য়প্রদেশকে চ্য়াম্পিয়ন করেছেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। কিন্তু সমস্যা হল, আইপিএল কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই তাঁর। প্রশ্ন উঠতেই পারে, বিদেশি ক্রিকেটারদের সামলাতে পারবেন তো তিনি?
কেকেআর শিবিরে গত কয়েক বছরে দুটো বিষয় খুব ভাবায়। ব্য়ক্তিগত নৈপুণ্য়। কোনও সময় আন্দ্রে রাসেল, কখনও সুনীল নারিন। এই দু-জন ব্যর্থ হলে ধারাবাহিক ভরসা দেওয়ার মতো কেউ নেই। বিশেষত নজর থাকবে, নতুন কোচ এই দু-জনকে কী ভাবে ব্য়বহার করেন। কেকেআরের ধারাবাহিক সমস্যা টপ অর্ডার। প্রতি বছরই টপ আর্ডারে নানা পরীক্ষা হয়। কখনও সুনীল নারিন ওপেনার, কখনও মিডল অর্ডার ব্য়াটার। কম্বিনেশন বদলানো হয় ধারাবাহিক ভাবে। অপরিবর্তিত একাদশ প্রায় ধরে রাখা হয় না বললেই চলে। আগামী আইপিএলে কেকেআরে নজর থাকবে বেশ কিছু বিষয়ে।