লখনউ : নতুন একটা মরসুম। লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে এই মরসুম অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। হয়তো বা স্বপ্নের মরসুমও। হতে পারে ভালো কিছু হবে, অন্তত গত বারের মতো ফল করতে পারলেও তাদের কাছে বিশাল প্রাপ্তির হবে। আইপিএল অভিষেক হয়েছে গত মরসুমেই। ১০ দলের প্রতিযোগিতায় লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং গুজরাট টাইটান্স, এই দুটি দল নতুন যোগ দিয়েছিল। অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। লখনউ সুপার জায়ান্টস এলিমিনেটরে রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের কাছে হেরে তিন নম্বরে শেষ করে। গ্রুপ পর্বে ৯টি জয় এবং পাঁচ ম্যাচে হার। অভিষেকের নিরিখে খুব খারাপ নয়। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
এ বারের স্কোয়াড- লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), আবেশ খান, আয়ুষ বাদোনি, কুইন্টন ডি’কক, কৃষ্ণাপ্পা গৌতম, দীপক হুডা, প্রেরক মানকড়, কাইল মেয়ার্স, অমিত মিশ্র, মহসিন খান, নবীন উল হক, ক্রুনাল পান্ডিয়া, নিকোলাস পুরান, রবি বিষ্ণোই, ড্যানিয়েল স্য়ামস, করণ শর্মা, রোমারিও শেপার্ড, মার্কাস স্টইনিস, স্বপ্নিল সিং, জয়দেব উনাদকাট, মনন ভোরা, মার্ক উড, মায়াঙ্ক যাদব, যশ ঠাকুর, যুধবীর সিং।
সবাইকে কি শুরু থেকে পাওয়া যাবে? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর-না। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা যাঁরা জাতীয় দলে রয়েছেন, তাঁদের শুরুর দিকে পাওয়া যাবে না। লখনউ শিবিরে শুরুতে সমস্য়া হবে কুইন্টন ডি’ককে না পাওয়া। ৩ এপ্রিল স্কোয়াডে যোগ দেবেন কুইন্টন। লখনউ সুপার জায়ান্টস ঘরের মাঠে ১ এপ্রিল দিল্লি ক্য়াপিটালসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে। তিন এপ্রিল ম্য়াচ রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে। সুতরাং, প্রথম দু-ম্য়াচে অন্তত কুইন্টনকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
গত মরসুমে লখনউ শিবিরের প্রাপ্তি ছিল, বাঁ হাতি পেসার মহসিন খান। স্কোয়াডে থাকলেও এ বার বেশির ভাগ সময়ই পাওয়া যাবে না তাঁকে। অস্ত্রোপচার হয়েছিল মহসিনের। এখনও বোলিং শুরু করেননি এই বাঁ হাতি স্পিনার।
এই মরসুমে নতুন কী দেখা যাবে লখনউ সুপার জায়ান্টসে? এ বার মিনি অকশনে নিকোলাস পুরানকে ১৬ কোটি টাকার বিশাল অঙ্কে নিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে নিকোলাসকে। উইকেট কিপিং হোক কিংবা ব্য়াটিং-বোলিং, সব দিক থেকেই লখনউকে ভরসা দিতে পারেন নিকোলাস। ভুললে চলবে না, মহসিনকে পাওয়া না গেলেও অভিজ্ঞ বাঁ হাতি পেসার জয়দেব উনাদকাট রয়েছেন লখনউ শিবিরে।