দীপঙ্কর ঘোষাল : ইডেনে ম্যাচ কটা থেকে! নাহ, ম্য়াচের সময় পরিবর্তন হয়নি। সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকেই ম্য়াচ। তবে ময়দান চত্ত্বরে দুপুর থেকেই ম্য়াচের রেশ। ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে মহমেডান ক্লাবের বাইরে, চারিদিকে শুধুই শুধুই আরসিবি জার্সির সমর্থক। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হোম ম্য়াচ, ইডেনের বাইরে বোঝার উপায় নেই। মূলত আরসিবি জার্সি এবং অবশ্য়ই বিরাটের নাম লেখা তাতে। কিছু চোখে পড়ল জাতীয় দলের জার্সিও। নীল জার্সিতেও নাম সেই বিরাটের। তাহলে কি নাইট রাইডার্সের জন্য় কিছুই নেই! হাতে গোনা কিছু সমর্থক নজরে পড়ল যাঁরা কেকেআর এবং রাসেলের নাম লেখা জার্সি পরেছেন। এত দিন পর ইডেনে কলকাতা নাইট রাইটার্সের ম্য়াচ। প্রথম প্রতিপক্ষই রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। হয়তো সে কারণেই সব দিক থেকেই সমস্য়ায় কেকেআর। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
প্রচণ্ড গরমে কাহিল অবস্থা। তাতেও উৎসাহে ভাঁটা নেই ক্রিকেটপ্রেমীদের। শেষ বার কলকাতায় কেকেআর খেলেছিল ২০১৯ সালে। আইপিএলের ম্যাচ হলেও ইডেন কেকেআর খেলছে চার বছরের ব্য়বধানে। হয়তো সে কারণেই এত উৎসাহ। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্স যে সমর্থন আশা করেছিল তার বেশির ভাগই বিরাটের দিকে। ইডেনের ক্লাব হাউস এবং বি ও এল ব্লকে সিটের উপর নাইটদের পতাকা রাখা। মাঠের বাইরে এত ভিড়ে কেকেআরের সমর্থন খুঁজে পাওয়া কঠিন। কেকেআর টিম মেম্বাররা মাঠে ঢুকতে কিছুটা কিছুটা গর্জন হল। সেটাও ঢাকা পড়ে গেল বিরাট কোহলি ওয়ার্ম আপে আসতেই।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের মরসুমের শুরুটা ভালো হয়নি। পঞ্জাব কিংসের কাছে হেরেছে কেকেআর। অ্যাওয়ে ম্য়াচে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্য়াচে কিছুটা লড়াই দেখা গিয়েছিল রাসেল, ভেঙ্কটেশ আইয়ারদের ব্যাটে। রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর অবশ্য় শুরুতেই ধামাকা করেছে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলির ব্য়াটে বিধ্বংসী ইনিংস। ফাফ ডুপ্লেসির সঙ্গে ওপেনিংয়েই ১৪৮ রানের পার্টনারশিপ। আর কেকেআরের বিরুদ্ধে ইডেনে বিরাটের শেষ ইনিংসটা! ২০১৯-এর এপ্রিলে ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। এ বারও বিরাটের থেকে বড় ইনিংস দেখার অপেক্ষায় সমর্থকরা। সমর্থন না থাকাটাই হয়তো তাতাতে পারে কেকেআরকে!