KKR vs RCB : ইডেনে পাঠান-আফগান-লর্ড শো, আরসিবিকে ২০৫ রানের লক্ষ্য দিল কেকেআর

দীপঙ্কর ঘোষাল : আর একটু হলে কি ছয়টা শাহরুখের সামনে গিয়ে পড়ত! রহমানুল্লা গুরবাজ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের আফগান ক্রিকেটার। গত মরসুমে ছিলেন গুজরাট টাইটান্সে। ফ্র্য়াঞ্চাইজি লিগে দীর্ঘ সময় ধরেই খেলছেন। অন্য়ান্য় দেশের লিগেও খেলেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের স্পেশালিস্টও বলা যায়। কেকেআর ব্যাটিংয়ে শুরুর হতাশার মাঝে নজর কাড়লেন রহমানুল্লা গুরবাজ। এর মধ্যে একটা ওভার বাউন্ডারি বি ব্লকে। আপার টায়ারের কাছাকাছি গিয়ে তা পড়ল। আরও একটু হলে হয়তো কর্পোরেট বক্সে শাহরুখের সামনে গিয়েই পড়ত! গ্যালারিতে ‘পাঠান’ শাহরুখকে নিয়ে কিছুটা উন্মাদনা। ক্রিজে আফগান ব্য়াটারকে নিয়ে। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্য়াচেও ভরসা দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের কিপার-ব্যাটার লিটন দাসের কি কেকেআর শিবিরে যোগ দেওয়ার আগেই চাপ বাড়ল? ইডেনে প্রথম ইনিংসে পাঠান-আফগান এবং ‘লর্ড’ শো। চাপের পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আরসিবিকে ২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দিল কেকেআর। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।

টস হার থেকেই অস্বস্তিতে ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শক্তিশালী আরসিবির সামনে ঠিক কতটা রান সুরক্ষিত, বলা কঠিন। আরসিবি বোলারদের সৌজন্য়ে কেকেআরের শুরুটা ভালো হয়। দুটো ওয়াইড বল বাউন্ডারি পেরোয়। কিন্তু ডেভিড উইলির পরপর ধাক্কা কলকাতাকে বেসামাল করে। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ব্যাকফুট ডিফেন্সের চেষ্টায়। উইকেট ভেঙে দেন উইলি। মনদীপ সিং প্রথম ম্য়াচে ওপেন করেছিলেন, এই ম্যাচে তিনে নামানো হল। প্রথম বলেই ক্লিন বোল্ড। এ বারও বোলার উইলিই। কেকেআরের কঠিন পরিস্তিতিতে একদিক আগলে রাখেন আফগান কিপার-ব্যাটার রহমানুল্লা গুরবাজ। উল্টো দিক থেকে উইকেট পড়লেও আগ্রাসী ব্য়াটিং চালিয়ে যান। ভরসা দিতে পারলেন না অধিনায়ক নীতীশ রানা। রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টায় গ্লাভসে লেগে ক্যাচ ওঠে। দীনেশ কার্তিক আবেদন করলেও মাঠের আম্পায়ার দেননি। রিভিতে পরিষ্কার ধরা পড়ে বল গ্লাভসে লেগেছে।

রহমানুল্লা গুরবাজও রিভার্স সুইপেই উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন। করণ শর্মার বলে রিভার্স সুইপ, শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ নেন আকাশ দীপ। ৪৪ বলে ৫৭ রানে ফেরেন গুরবাজ। ৬টি চার ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি। তিনি আউট হতেই ক্রিজে আন্দ্রে রাসেল। কেরিয়ারের শততম আইপিএলে ম্যাচে গোল্ডেন ডাক রাসেল। করণ শর্মার বোলিংয়ে লং অফে তাঁর ক্যাচ নেন বিরাট কোহলি। গুরবাজের অনবদ্য ইনিংসের পর ইডেনে কেকেআরের ‘লর্ড’ হয়ে উঠলেন শার্দূলই। একের পর এক অনবদ্য শট। মাত্র ২০ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছান শার্দূল। এ বারের আইপিএলে যুগ্ম ভাবে দ্রুততম অর্ধশতরান। ৪৭ বলে ১০৩ রানের জুটি গড়েন শার্দূল-রিঙ্কু সিং। অল্পের জন্য় অর্ধশতরান হল না রিঙ্কুর। ৪৬ রানে ফেরেন। শেষ ওভারে ক্রিজে ১৫০ তম আইপিএল ম্যাচে সুনীল নারিন। অবশেষে ২৯ বলে ৬৮ রানে ফেরেন শার্দূল। আরসিবিকে ২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দিল কেকেআর।