কলকাতা: যুদ্ধ, গোলা-বারুদ আর বিতর্ক সর্বদা তাড়া করে বেড়ায় দেশের আনাচে কানাচে। তালিবানি শাসনে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান। ভয়াবহ অবস্থার জেরে ঘরছাড়া অনেকে। দেশের ক্রিকেটাররাও বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। ক্রিকেটবিশ্বে ফুল ফোটানোর সময়ই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে। দুই আফগান ক্রিকেটার রশিদ খান আর নুর আহমেদ গুজরাট টাইটান্সের সংসার অবশ্য আলো করে রেখেছেন। রশিদ খান আইপিএলের পরিচিত মুখ। অফগান লেগস্পিনার এর আগেও ধাঁধা দেখিয়েছেন ব্যাটারদের। এ বারের আইপিএলেও বেগুনি টুপির দৌড়ে রয়েছেন। রবিবার মেগা ফাইনালে বেগুনি টুপি দখলে রশিদের প্রতিদ্বন্দ্বী নিজেরই দলের মহম্মদ সামি। ধোনি, ঋতুরাজদের ঘূর্ণিতে কুপোকাত করতে চান রশিদ খান। সেই লক্ষ্যে সচেষ্ট। আইপিএলে গুজরাট শিবিরে রশিদের সঙ্গী এ বার স্বদেশীয় নুর আহমেদ। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আফগানিস্তান ক্রিকেটে রশিদ খান একজন আইডল। ১৮ বছরের নুর আহমেদের চোখেও আইডল রশিদ। আর তাঁর সঙ্গেই ভাগ করে নিচ্ছেন আইপিএলের ড্রেসিংরুম। রশিদের তত্ত্বাবধানে থেকে আরও ক্ষুরধার হয়ে উঠছেন বাঁ-হাতি লেগস্পিনার। বিশ্বক্রিকেটে ‘চায়নাম্যান’দের কদর এমনিতেই বেশি। আর সেই তালিকায় নিজের নাম উজ্জ্বল করে রাখতে উদ্যোগী ১৮ বছরের আফগান বাঁ-হাতি লেগস্পিনার। ডান হাতি, বাঁ-হাতি দুই লেগস্পিনারের কম্বিনেশনেই বিপক্ষ শিবিরের ঘুম কাড়ছে গুজরাট। ইতিমধ্যে নুরের ঝুলিতে ১২ ম্যাচে ১৪ উইকেট। রশিদের পরামর্শেই নিজেকে তৈরি করছেন ১৮ বছরের তরুণ লেগস্পিনার।
নিজেদের মধ্যে ঠিক কী কথা হয়? যদিও রশিদ খান তা ফাঁস করতে নারাজ। বরং বলেন, ‘ওভারের মাঝে আমরা শুধু খুনসুটি করি। একে অপরের সঙ্গে মজা করি। আমি ওকে ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করি। ওর থেকে বিশাল কিছু প্রত্যাশা করি না। সাধারণ থাকতে দিই। সবে মাত্র আইপিএল কেরিয়ার শুরু করেছে। ওভারের মাঝখানেও ওর সঙ্গে মসকরা করি।’
ম্যাচের পর পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা করলেও নুরকে বেশি চাপ দেন না রশিদ। বরং খোলামেলা রাখার চেষ্টা করেন। নিজেদের ভাষায় সারাক্ষণ আড্ডা মারেন। এতে দু’জনেই অনেক চাপমুক্ত থাকেন। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও মূলত নুরকে সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন রশিদের ওপরই। দলের অন্যান্য ক্রিকেটারের মতো নুরকেও চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করেছেন ক্যাপ্টেন হার্দিক।