বেঙ্গালুরু : এ বারের আইপিএলে বিধ্বংসী ইনিংসে শুরু করেছিলেন বিরাট কোহলি। ঘরের মাঠে প্রথম ম্য়াচে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে হতাশায় মাঠ ছাড়েন। সুনীল নারিনের ডেলিভারি ব্য়াট-প্য়াডের ফাঁক দিয়ে কোহলির উইকেট ভেঙে দেয়। ওপেনিং জুটি ব্য়র্থ হওয়ায় ক্রমশ চাপ বাড়ে আরসিবি টিমের ওপরও। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ২০৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১২৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় আরসিবি। টিম আরসিবি এবং ব্য়ক্তিগত ভাবে বিরাট কোহলির দিকেও নজর ছিল চিন্নাস্বামীতে। টস হেরে প্রথমে ব্য়াট করতে নামে আরসিবি। ঘরে ফিরেই বিরাট দাপট। প্রথম ওভার সতর্ক শুরু। ক্রমশ হাত খোলেন বিরাট। প্রথম ম্য়াচে ফাফ ডুপ্লেসি শুরুতে বিধ্বংসী মেজাজে থাকায়, অ্যাঙ্কর করছিলেন বিরাট। এই ম্য়াচে বিরাট বিধ্বংসী মেজাজে, ডুপ্লেসি অ্যাঙ্কর। এ দিন ৩৫ বলে অর্ধশতরান বিরাটের বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
মঞ্চ প্রস্তুত ছিল বিরাটের জন্য। এক ম্য়াচের ব্য়র্থতায় যে কোনও প্লেয়ারের ফর্ম খারাপ হয় না আরও একবার দেখিয়ে দিলেন বিরাট। লেগ স্পিনারদের বিরুদ্ধে সমস্য়ায় পড়েন বিরাট। ইডেনে যে ভাবে আউট হয়েছিলেন, তাতে আবারও প্রশ্ন উঠেছিল লেগ স্পিনারের বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্য়ান্স নিয়ে। মাঝে দুদিন সময় পেয়েছিলেন। অনুশীলনে যেন সেই ভুলগুলিই শুধরে নিয়েছেন। আরও একটা অর্ধশতরান তারই প্রমাণ। অর্ধশতরানের পথে অন্তত লখনউ লেগ স্পিনারের বিরুদ্ধে সে ভাবে চাপে দেখায়নি বিরাটকে।
শুরুতে সাধারণ মন্থরই দেখা যায়। ৩০ বল পেরোতেই স্ট্রাইক রেট ১৬৭ পেরোয়। ২০২০ থেকে এমনটাই দেখা গিয়েছে। এ দিনও তাই হল। অর্ধশতরান পেরোতেই আক্রমণাত্মক ব্য়াটিং শুরু করেন। যদিও সেই লেগ স্পিনারের বিরুদ্ধেই উইকেট খোয়ালেন। লখনউ সুপার জায়ান্টসের অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার অমিত মিশ্র ফেরালেন বিরাটকে। ৪৪ বলে ৬১ রানে ফেরেন বিরাট কোহলি। তাঁর এই ইনিংসে ৪টি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি রয়েছে। আইপিএলে এখনও অবধি সব মিলিয়ে ১৪টি দল খেলেছে। এর মধ্যে প্রথম ব্য়াটার হিসেবে ১৩টি দলের বিরুদ্ধে অর্ধশতরানের নজির গড়লেন বিরাট কোহলি।