
কলকাতা: নাইট রাইডার্স সমর্থকদের কাছে দুটো মরসুম স্বপ্নের কেটেছিল। ২০১২ এবং ২০১৪। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দু-বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দু-বারই ক্যাপ্টেন ছিলেন গৌতম গম্ভীর। তাঁর চলে যাওয়াটা যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেকেআরের কাছে। এরপর ট্রফির সামনে গেলেও জেতা হয়নি। এ বার ‘ভাগ্য’ ফিরেছে কেকেআরের। মেন্টর হয়ে ফিরেছেন গৌতম গম্ভীর। তাঁর সঙ্গে ট্রফি ভাগ্যও ফিরবে, সেই আশায় কলকাতা নাইট রাইডার্স সমর্থকরা। কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট ইতিমধ্যেই দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। যে পাঁচ ক্রিকেটারকে কলকাতা নাইট রাইডার্স রাখবেই। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports– এর এই প্রতিবেদনে।
চোটের কারণে গত মরসুমে খেলতে পারনেনি শ্রেয়স আইয়ার। দেশের হয়ে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন। যে কারণে তাঁকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালেও পায়নি টিম ইন্ডিয়া। তবে এশিয়া কাপ থেকে জাতীয় দলে নিয়মিত খেলছেন শ্রেয়স। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় পর্বে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। দুটি সেঞ্চুরিও রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম তিন ম্যাচে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। শেষ দুটি ম্যাচ খেলবেন।
চোট থাকা সত্ত্বেও গত মরসুমে শ্রেয়সকে ছেঁটে ফেলেনি কেকেআর। সেখান থেকেই প্রমাণিত শ্রেয়সে কতটা আস্থা টিম ম্যানেজমেন্টের। অলিখিত ভাবে শ্রেয়সই ছিলেন ক্যাপ্টেন। কেকেআরকে গত মরসুমে নেতৃত্ব দেওয়া নীতীশ রানার সঙ্গে নিয়মিত কথাও বলতেন, পরামর্শ দিতেন। তেমনই কোনও তরুণ প্লেয়ার ভালো পারফর্ম করলে তাঁকেও শুভেচ্ছা জানাতেন, নানা পরামর্শ দিতেন। এ বারও শ্রেয়সকে রিটেন করবে কেকেআর, এ কথা বলাই যায়। নেতৃত্বও দেবেন নাইটদের।
রিটেশন তালিকায় নিঃসন্দেহে থাকবে রিঙ্কু সিংয়ের নাম। এখন যেন কেকেআর একাদশ গড়লে প্রথম নামটাই থাকবে রিঙ্কুর। বেশ কয়েক মরসুম ধরেই কেকেআরে রয়েছেন। তাদের অ্যাকাডেমিতে প্রস্তুতি সেরে গিয়েছেন। গত আইপিএলের আগে অবধি তাঁর কাজই ছিল পরিবর্ত হিসেবে নেমে ফিল্ডিং করা। পরিশ্রমী এই ক্রিকেটার গত মরসুমে দেখিয়ে দিয়েছেন, সুযোগ পেলে তিনি কী করতে পারবেন। দুর্দান্ত আইপিএল মরসুমের পর জাতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছেন। জাতীয় দলের জার্সিতে আধডজন টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তাঁর পরিণত মানসিকতা তাক লাগানোর মতোই। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে ভারত। প্রথম ম্য়াচে শেষ মুহূর্তে প্রবল চাপে পড়ে টিম ইন্ডিয়া। ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ ফিনিশ করেন রিঙ্কু।
গত মরসুমে কেকেআরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নীতীশ রানা। এ বার নেতৃত্ব না পেলেও দলে থাকবেন। মিডল অর্ডারে তাঁর মতো ব্যাটার প্রয়োজন। সঙ্গে তাঁর অফস্পিন কার্যকরী ভূমিকা নেয়। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে কেকেআরের রিটেন করার সম্ভাবনা প্রবল রহমানুল্লা গুরবাজকে। গত মরসুমেই আইপিএল অভিষেক হয়েছে আফগান কিপার ব্যাটারের। প্রথম মরসুমের নিরিখে পারফরম্যান্স মন্দ নয়। এ বারের ওয়ান ডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সাফল্য়ের নেপথ্যে অন্যতম ভূমিকা রয়েছে গুরবাজের। তাঁকে রিটেন করার সম্ভাবনা প্রবল।
আর যে নাম দেখা যেতে পারে, তিনি হর্ষিত রানা। এই তরুণ পেসার গত মরসুমে কেকেআর জার্সিতেই আইপিএলে অভিষেক করেছেন। হাতে গোনা কয়েকটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর গতি, লাইন, লেন্থ প্রশংসনীয়। আইপিএলের পর ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভালো পারফর্ম করেছেন। এ ছাড়া ভারত এ দলের হয়ে এমার্জিং এশিয়া কাপেও খেলেছেন। হর্ষিতের ব্যাটিংয়ের হাতও ভালো। মূলত পেসার হলেও তাঁকে পেস বোলিং অলরাউন্ডারও বলা যায়।