কলকাতা: এখন আর দিনে নয়, বরং ঘণ্টায় অপেক্ষা চলছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মিনি অকশন। নামেই মিনি। নিলামে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৩৩৩ জন ক্রিকেটারের। স্লট মাত্র ৭৭টি। এর মধ্যে বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য স্লট ৩০টি। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই কার্যত দল সাজিয়ে রেখেছে। বেশির ভাগ প্লেয়ারকেই রিটেন করেছে। তবে বেশির ভাগ দলের নজরেই পেস বোলিং আক্রমণ আরও জোরদার করা। নিলামে বেশ কয়েকজন পেসারকে নিয়ে বাড়তি আগ্রহ। এর মধ্যে যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ পেসার জেরাল্ড কোৎজে রয়েছেন, তেমনই অজি তরুণ স্পেন্সার জনসনও। বাড়তি নজর তারকা পেসারদের ওপর। কিন্তু এক পেসারকে নিলে ভুগতে হতে পারে সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports– এর এই প্রতিবেদনে।
বিদেশি পেসার চাই। অন্তত কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অলিখিত স্লোগান তাই। কলকাতা নাইট রাইডার্স কোনও বিদেশি পেসার রিটেন করেনি। স্বাভাবিক ভাবেই নিলামে নজর থাকবে বিদেশি পেসার নেওয়ার দিকে। একই পরিস্থিতি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। তাদের বিদেশি পেসার বলতে ইংল্যান্ডের বাঁ হাতি রিস টপলি। মহম্মদ সিরাজের সঙ্গে ভালো মানের পেসার চাই, এমন পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছেন আরসিবির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট মো বোবাত।
নিলামের আগে প্রতিটি দেশের বোর্ড তাদের প্লেয়ারদের পাওয়া না পাওয়া সম্পর্কে পরিষ্কার করে দিয়েছে। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি সেই অনুযায়ী প্লেয়ার কেনার দিকে ঝুঁকবেন। নিলামে অজি পেসারদের জন্য বাড়তি তাগিদ থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে তাদের প্লেয়ারদের পুরো টুর্নামেন্টেই পাওয়া যাবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য একমাত্র জশ হ্যাজলউডের ক্ষেত্রে। অজি বোর্ড জানিয়েছে, মার্চ-এপ্রিলে পাওয়া যাবে না হ্যাজলউডকে।
কী হচ্ছে নিলাম ঘরে? সরাসরি আপডেট পেতে ক্লিক করুন
আইপিএলের গত সংস্করণে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে ছিলেন জশ। চোটের জন্য কার্যত তাঁকে খেলাতেই পারেনি আরসিবি। মাঝ পথেই দেশে ফিরে যান। এ বার তাঁকে রিটেন করেনি আরসিবি। নিলামে ২ কোটির বেস প্রাইসে নাম রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন হ্যাজলউড। কিন্তু টুর্নামেন্টের একটা বড় অংশে তাঁকে পাওয়া না গেলে স্বাভাবিক ভাবেই ভুগতে হবে। আইপিএল শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ২২ মার্চ। ফাইনাল মে মাসের শেষে। সম্ভাবনা অনুযায়ী হ্যাজলউডকে পাওয়া যাবে শেষ দিকে। যা নিঃসন্দেহে ঝুঁকির বিনিয়োগ হয়ে যাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির কাছে। তবে প্যাট কামিন্স কিংবা মিচেল স্টার্কের ক্ষেত্রে এই সমস্যা নেই।
হ্যাজলউডের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। ওই সময় প্রথম সন্তানের অপেক্ষায় থাকবেন। সে কারণেই আইপিএলের প্রথম অর্ধে পাওয়া যাবে না এই পেসারকে। এমনটাই জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড।