দীপঙ্কর ঘোষাল
নতুন রূপে পুরনো আইপিএল। গত ১৫ বছরে অনেক কিছু বদলেছে। কিন্তু একটা বিষয় এখনও অপরিবর্তিত। মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং তাঁকে নিয়ে উন্মাদনা। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ম্য়াচের আগের দিন অবধিও একটা অস্বস্তি ছিল। অনুশীলনে অস্বস্তিতে দেখাচ্ছিল ধোনিকে। প্রশ্ন জাগছিল, তিনি খেলবেন তো! উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেষের দিকে ধোনি আসতেই ব্য়াপক গর্জন। সেখান থেকেই চিত্রটা পরিষ্কার হচ্ছিল। ধোনি টস করতে আসায় নিশ্চিত হয়ে যায়। সূচি অনুযায়ী গুজরাট টাইটান্সের হোম ম্য়াচ হলেও গ্য়ালারি দেখে বোঝার উপায় নেই। ফের কবে, আদৌ কোনও দিন ধোনিকে এই মাঠে খেলতে দেখার সুযোগ কিনা, নিশ্চিত নয়। ধোনির সমর্থনেই গ্য়ালারিতে হলুদ পতাকা। তাঁর ক্য়ামিও ইনিংস বেশ কিছুটা আনন্দ দিল। মাত্র ৭ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন ধোনি। তবে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের অনবদ্য় ইনিংস সত্ত্বেও ২০০-র গণ্ডি পেরোতে পারেনি চেন্নাই। মাত্র ৮ রানের জন্য় শতরান হাতছাড়া হয় ঋতুরাজের। গুজরাট টাইটান্সকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য় দেয় চেন্নাই সুপার কিংস। আইিপএলের ষষ্ঠদশ সংস্করণের প্রথম ম্যাচ গুজরাট টাইটান্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংস রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে শুভমন গিলের পারফরম্যান্স! মধুচন্দ্রিমা বলা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই মাঠে অনবদ্য় রেকর্ড শুভমনের। সদ্য বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে আমেদাবাদে শতরান করেছেন শুভমন গিল। অজিদের বিরুদ্ধে সেই ম্য়াচ শেষে শুভমন বলেছিলেন, ‘আইপিএলে আমার ঘরের মাঠে শতরান করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।’ যেখানে শেষ করেছিলেন, টিক যেন সেভাবেই শুরু করলেন। বোর্ডে ১৭৯ রানের লক্ষ্য়। ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমন গিল জুটি দারুণ শুরু দেয় গুজরাট টাইটান্সকে। ঋদ্ধিমান ১৬ বলে ২৫ রানে ফেরেন। সেট হতে কিছুটা সময় নেন শুভমন। ঋদ্ধি আউট হতেই বিধ্বংসী মেজাজে শুভমন। অনবদ্য় অর্ধশতরান শুভমনের ব্যাটে। কিন্তু ১৫তম ওভারের শেষ বলে শুভমন আউট হতেই চাপ বাড়ে গুজরাট শিবিরে। ততক্ষণে আউট হয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও।
শেষ ৫ ওভারে ৪১ রান প্রয়োজন ছিল গুজরাট টাইটান্সের। গত বারের চ্য়াম্পিয়ন টাইটান্স। কোনও এক প্লেয়ারের উপর নির্ভরশীল নয় তারা। গত বার অভিষেক মরসুমেই তা প্রমাণ করেছিল টাইটান্স। প্রতি ম্য়াচেই কেউ না কেউ জ্বলে উঠেছেন। শুভমন আউট হলেও প্রত্য়াশা ছিল বিজয় শঙ্করের উপর। ১৮ তম ওভারের শেষ বলে বিজয় শঙ্কর আউট হতেই ম্যাচ আরও জমে ওঠে। ২১ বলে ২৭ রানে ফেরেন বিজয় শঙ্কর। ফের ম্যাচের রং বদলায়! রশিদ খান ক্রিজে আসতে ফের আশায় গুজরাট শিবির। ১৯ তম ওভারে রশিদ খান পরপর দু-বলে ৬ ও ৪ মেরে চেন্নাইয়ের রাশ টেনে নেন রশিদ। রাহুল তেওয়াটিয়া এবং রশিদ জুটি আর কোনও বাধা আসতে দেননি। ৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় গুজরাট টাইটান্স। শুভমন গিলের ৩৬ বলে ৬৩ রানের ইনিংস শুভমনের।