দীপঙ্কর ঘোষাল : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নতুন মরসুমে বিধ্বংসী শুরু করেছিল টানা তিন বার প্লে-অফ খেলা রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। ইডেনে মুখ থুবরে পড়ল। মঞ্চ প্রস্তুত ছিল বিরাট কোহলির জন্য। সেই মঞ্চে নায়ক শার্দূল ঠাকুর। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ব্য়াটিং-বোলিংয়ে ভরসা দিলেন। তাঁর তৈরি করা ভিতের ওপর তিন রহস্য় স্পিনার। সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হয় সূয়াশ শর্মাকে। রান-আপ মিডিয়াম পেসারের মতো, করেন লেগ স্পিন। অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়লেন। টস হারে প্রথম থেকেই চাপে ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ব্যাটিংয়ে রহমানুল্লা গুরবাজ, রিঙ্কু সিং এবং শার্দূল ঠাকুরের বিধ্বংসী ইনিংস বড় স্কোর গড়তে সাহায্য করে নাইটদের। বল হাতে তিন স্পিনারের জাদু। ইডেনে বিরাট জয় নাইট রাইডার্সের। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
প্রথম ম্যাচে যে ভাবে ব্য়াট করছিলেন বিরাট-ফাফ, তাতে কেকেআরের দেওয়া ২০৫ রানের লক্ষ্যও কম মনে হতে পারে। এ দিনও শুরুটা ভালো হয়। পঞ্চম ওভারে সুনীল নারিনকে আক্রমণে আনতেই অস্বস্তিতে পড়েন বিরাটরা। চিন্নাস্বামীর ম্য়াচেও দেখা গিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পেসারদের বিরুদ্ধে দাপট দেখান বিরাট-ফাফ। কিন্তু পীযুষ চাওলার একই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারেননি। নারিন আসতেই খেই হারাল আরসিবি। ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করা বিরাট কোহলিকে ক্লিন বোল্ড নারিনের। পরের ওভারেই ফাফ ডুপ্লেসিকে ফেরান বরুণ চক্রবর্তী। নারিন-বরুণের সঙ্গে উইকেটের আনন্দে যোগ দেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সূয়াশ শর্মাও।
রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের টপ থ্রি বিরাট কোহলি, ফাফ ডুপ্লেসি, মাইকেল ব্রেসওয়েল দু-অঙ্কের রানে ফেরেন। এরপরই এক অঙ্কের রান বেশ কিছু। ডেভিড উইলি এবং আকাশ দীপ হারের ব্যবধান কিছুটা কমালেন মাত্র। ১৭.৪ ওভারে আরসিবি ইনিংস শেষ মাত্র ১২৩ রানেই। সুনীল নারিন ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। বরুণ চক্রবর্তী বোলিংয়ে স্টার পারফর্মার। ৩.৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন বরুণ। সূয়াশ শর্মা ৩০ রানে ৩ উইকেট। স্পিনারদের ঝুলিতেই এসেছে ৯ উইকেট।