দীপঙ্কর ঘোষাল
‘মুসকুরাইয়ে, আপ হ্যায় লখনউ মে’। গত মরসুমেই আইপিএল অভিষেক হয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টসের। যদিও ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ হয়নি। অবশেষে এ দিন ঘরের মাঠে প্রথম ম্য়াচ খেলল লখনউ সুপার জায়ান্টস। লখনউকে নিয়ে সেই বিখ্য়াত লাইন সত্যি হয়ে দেখা দিল সমর্থকদের জন্য। চওড়া হাসি মুখেই মাঠ ছাড়ল লখনউ। দিল্লি ক্য়াপিটালসকে ৫০ রানের বিশাল ব্য়বধানে হারিয়ে ঘরের মাঠে যাত্রা শুরু লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বাধীন লখনউ সুপার জায়ান্টসের। কাইল মেয়ার্সের ক্য়াচ ফসকে প্রথম ভুল করেছিল দিল্লি ক্য়াপিটালস। এরপর মার্ক উডের আগুনে বোলিং। ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন দিল্লির সঙ্গে জয়ের দূরত্ব থেকে গেল। কেরিয়ারে প্রথম বার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাঁচ উইকেট নিলেন মার্ক উড। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন মার্ক উড। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম দিল্লি ক্য়াপিটালস ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
দিল্লি ক্যাপিটালস ইনিংসের পঞ্চম ওভার। বিধ্বংসী মেজাজে ব্য়াট করছিলেন দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শ এবং ডেডিভ ওয়ার্নার। মার্ক উড বোলিংয়ে এসেই সব পরিকল্পনা তছনছ করে দিলেন। প্রথম ওভারে ২ রান দিয়ে ২ উইকেট। ১৪৭ কিমি/ঘণ্টার ডেলিভারিতে পৃথ্বী শ-এর উইকেট ছিটকে দিলেন মার্ক উড। পরের বলেই মিচেল মার্শের দামী উইকেট। গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন শন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ১ রান দিয়ে সরফরাজ খানের উইকেট। প্রথম ২ ওভারের স্পেলে ৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট। দিল্লি ক্য়াপিটালস যেন সেখানেই ম্য়াচ থেকে হারিয়ে যায়। তবে আশা ছিল ডেভিড ওয়ার্নার। ক্রমশ রানের চাপ বাড়তে থাকায় একটা সময় তাঁকেও ঝুঁকি নিতে হল। শেষ ওভারে বোলিংয়ে আনা উডকে। প্রথম বলেই উইকেট। শেষ অবধি জয় থেকে ৫০ রান দূরে থামল দিল্লি ক্য়াপিটালস।
প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৩ রানের বিশাল স্কোর গড়ে লখনউ সুপার জায়ান্টস। কাইল মেয়ার্সের ক্য়াচ ফসকেছিলেন খলিল আহমেদ। সুযোগ কাজে লাগান কাইল। মাত্র ৩৮ বলে ৭৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন কাইল মেয়ার্স। লোয়ার অর্ডারে নিকোলাস পুরানের ২১ বলে ৩৬ রান। দিল্লি ক্য়াপিটালসের কাছে এই লক্ষ্য বিশাল হলেও তাঁদের ব্য়াটিং গভীরতা ভরসা জুগিয়েছিল। তবে মার্ক উড বোলিংয়ে আসতেই বিশাল ধাক্কা। যেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দিল্লি ক্য়াপিটালস। ৪ ওভারের স্পেলে ১৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট। ম্যাচের সেরা হয়েছেন মার্ক উডই।