দীপঙ্কর ঘোষাল : ক্যামেরন গ্রিনের অলরাউন্ড পারফরম্য়ান্স। জয়ের হ্যাটট্রিকও করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে জোড়া হারে মরসুম শুরু করেছিল মুম্বই। ঘুরে দাঁড়িয়েছিল রোহিত শর্মার টিম। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ডেরায় ১৪ রানে জয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। গত কয়েক দিন যেমন থ্রিলারের সিরাজ চলছিল, এই ম্যাচও যেন সে দিকেই মোড় নিতে পারত। অনবদ্য ফিল্ডিং করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যদিও ব্যাটিংয়ে পাওয়ার হিটিং দেখা গেল না। ইডেন গার্ডেন্সে হ্যারি ব্রুকের শতরান এবং অধিনায়ক এইডেন মার্করামের বিধ্বংসী ইনিংস সানরাইজার্সের জয়ে অবদান রেখেছিল। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে অবশেষে রানে ফিরলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। দল যদিও জিতল না। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla Sports-এ।
টস জিতে ‘ট্রেন্ড’ বজায় রাখেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ফিল্ডিংয়েরই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিষাণ ওপেনিং জুটির শুরু ভালো হলেও বড় ইনিংস খেলতে ব্য়র্থ তারা। এইডেন মার্করামের তিনটে দুর্দান্ত ক্যাচ চাপে ফেলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। তবে অলরাউন্ডার ক্য়ামেরন গ্রিনের ইনিংস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এ বারই প্রথম আইপিএল খেলছেন গ্রিন। মিনি অকশনে তাঁকে বিশাল দরে নিয়েছিল মুম্বই। সাফল্য আসছিল না। আইপিএলে প্রথম অর্ধশতরান করলেন গ্রিন। ৩৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। শেষ অবধি ৪০ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯২ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
রান তাড়ায় শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় সানরাইজার্স। গত ম্যাচে শতরানকারী হ্যারি ব্রুক ফেরেন মাত্র ৯ রানে। রাহুল ত্রিপাঠী, মার্করামও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। মায়াঙ্ক আগরওয়াল একদিক আগলে রাখলেও বড় জুটি হয়নি। ক্লাসেন ক্রিজে আসায় ম্য়াচে ফিরেছিল সানরাইজার্স। মায়াঙ্ক ফেরেন ৪৮ রান করে। অনেক ক্ষেত্রেই মনে হয়েছিল সানরাইজার্স জিততেও পারে। কিন্তু হাতে উইকেট না থাকায় কাজ কঠিন হয়। শেষ তিন ওভারে ৪৩ রান প্রয়োজন ছিল সানরাইজার্সের। শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ রান। ম্য়াচে প্রাণ আসে অর্জুন তেন্ডুলকরকে বোলিং দেওয়ায়। চাপের মুখে এই তরুণ পেসার কেমন পারফর্ম করে সেদিকেই নজর ছিল। দ্বিতীয় বলেই রান আউট সামাদ। ৪ বলে ১৯ রানের লক্ষ্য থাকলেও হাতে ছিল মাত্র ১ উইকেট। পঞ্চম বলে ভুবনেশ্বর কুমারের উইকেট নিয়ে সানরাইজার্সকে অলআউট করেন অর্জুন তেন্ডুলকর। পাওয়ার প্লে-তে ২ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ১৪ রান। শেষ ওভারে ৫ বলে ৪ রান দিয়ে ভুবির উইকেট। আইপিএলে প্রথম উইকেট নিলেন সচিন-পুত্র।