দীপঙ্কর ঘোষাল : বিজনেস এন্ড! আইপিএলের এই পরিস্থিতিকে তাই বলা হচ্ছে। প্রতিটি ম্যাচই নকআউট। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, দিল্লি ক্যাপিটালস প্লে-অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রয়োজন ছিল একটা বড় জয়ের। আরসিবি ব্যাটিং লাইন আপের যা পরিস্থিতি তাতে টপ থ্রিই ভরসা। বেশ কিছু ম্যাচেই দেখা গিয়েছে বিরাট, ফাফ, ম্যাক্সওয়েল ফিরলে ম্যাচ জেতানোর লোকের অভাব। এখন শেষ দিকে আর সেই ঝুঁকি নিলেন না আরসিবির দুই ‘ক্যাপ্টেন’। বিরাট কোহলি গত দু-ম্যাচে রান পাননি। বোর্ডে ১৮৭ রানের লক্ষ্য। প্রয়োজন ছিল একটা মজবুত জুটির। সেটাই করে দেখালেন বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডুপ্লেসি। ওপেনিং জুটিতে যোগ করলেন ১৭২ রান। শেষ ওভার অবধি ম্যাচ গড়ালেও ৮ উইকেটে জয়ী আরসিবি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla Sports-এ।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। তাদের শুরুটাও ভালো হয়। পঞ্চম ওভারে সানরাইজার্সের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং রাহুল ত্রিপাঠীকে আউট করেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। একই ওভারে জোড়া ধাক্কা সামলে ওঠে সানরাইজার্স। সৌজন্যে হেনরিখ ক্লাসেন। শুরুর দিকে সুযোগই পাচ্ছিলেন না সানরাইজার্সের এই কিপার-ব্যাটার। স্পিনের বিরুদ্ধে অনবদ্য ব্যাটার ক্লাসেন। তাঁকে দলে নেওয়ার পর থেকেই ধারাবাহিক পারফর্ম করেছেন ক্লাসেন। তবে এ দিন সব পারফরম্যান্স ছাপিয়ে গেলেন। যদিও দল জিতল না। বিরাট ইনিংসে ঢাকা পড়ে গেল ক্লাসেনের লড়াই। আইপিএল কেরিয়ারে প্রথম শতরান করেন হেনরিখ ক্লাসেন। চার নম্বরে নেমে শতরান করা সহজ নয়। ক্লাসেনের শতরানের সৌজন্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৬ রান করে সানরাইজার্স।
বিরাট কোহলি-ফাফ ডুপ্লেসির জুটি ভাঙার সুযোগ অনেক আগেই এসেছিল সানরাইজার্সের। নবম ওভারে শর্টপিচ বলে ক্যাচ আউট হতে গিয়ে অল্পের জন্য বাঁচেন ডুপ্লেসি। নো-বল দেন আম্পায়ার। সেখান থেকে আর পেছন ফিরে তাকায়নি আরসিবি। তবে বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডুপ্লেসি আউট হতে সাময়িক উত্তেজনা বেড়েছিল ম্যাচে। কোনও নাটকীয় পরিস্থিতি আসতে দেননি ম্যাক্সওয়েল ও ব্রেসওয়েল। ৪ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় আরসিবি। এই জয়ে পয়েন্ট টেবলে চারে উঠে এল আরসিবি। নিজেদের শেষ ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সকে হারাতে পারলে আর কোনও অঙ্কের দিকে তাকাতে হবে না আরসিবিকে।