
ইরানি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন বিদর্ভ। গত বারের রঞ্জি ট্রফি বনাম অবশিষ্ট ভারতের ম্যাচ। দেশের সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের অবশিষ্ট দল গড়া হয়েছিল। অবিশ্বাস্য রান তাড়া করে জিততে হত। কাজটা সহজ ছিল না। চেষ্টাও করেছিল অবশিষ্ট ভারত একাদশ। যশ ধূলের কথা আলাদা করে বলতে হয়। পাঁচ দিনের লড়াই শেষে ট্রফি উঠল বিদর্ভ ক্যাপ্টেন অক্ষয় ওয়াদকারের হাতে। অবশিষ্ট ভারত একাদশের হতাশা ঈশান কিষাণের পারফরম্যান্স। প্রথম ইনিংসে ১। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫ ঈশানের।
ওপেনার অথর্ব তাইডের ১৪৩। মিডল অর্ডারে যশ রাঠোরের ৯১ রানের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রান করেছিল বিদর্ভ। অলআউট হলেও বড় স্কোর। প্রথম ইনিংসে অবশিষ্ট ভারত একাদশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছিলেন আকাশ দীপ ও মানব সুথার। অবশিষ্ট ভারত একাদশের প্রয়োজন ছিল বড় স্কোর গড়ে প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার। ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ হাফসেঞ্চুরি করেন, ক্যাপ্টেন রজত পাতিদার চারে নেমে হাফসেঞ্চুরি। এরপর একের পর এক উইকেট। মাত্র ২১৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় অবশিষ্ট ভারত। ম্যাচ কার্যত সেখানেই হাতছাড়া হয়েছিল।
প্রথম ইনিংসে বড় লিড নেয় বিদর্ভ। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশিষ্ট ভারত একাদশের বোলাররা মরিয়া চেষ্টা করেন। আকাশ দীপ, অংশুল কম্বোজ, গুরনুর ব্রার, সারাংশ জৈনরা চেষ্টার কসুর করেননি। সাফল্য মেলে বলা যায়। বিদর্ভকে ২৩২ রানে অলআউট করে তারা। কিন্তু প্রথম ইনিংসে বড় লিডের কারণে অবশিষ্ট ভারত একাদশের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৬১ রান!
চতুর্থ ইনিংসে এই স্কোর তাড়া করে জেতা কার্যত অসম্ভব। কালেভদ্রে এমন হয়ে থাকে। তবে যশ ধূল ও মানব সুথার অনেকটা ক্লোজ করার চেষ্টা করেন। মানব ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন। যশ ধূল ৯২ রানে ফেরেন। যশের উইকেটের পরই যাবতীয় আশা শেষ হয়ে যায় অবশিষ্ট ভারত একাদশের। ২৬৭ রানেই অলআউট তারা। ৯৩ রানের জয়ে ট্রফি বিদর্ভর। প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের সৌজন্যে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জেতেন বিদর্ভর ওপেনার অথর্ব তাইডে।