Sourav Ganguly: নাইরোবিতে সুস্বাদু চিকেন! সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যা করেছিলেন প্রিয়বন্ধু সচিন
Sourav Ganguly-Sachin Tendulkar: কলকাতায় ম্যাচ থাকলে একটা সময় এই বিষয়টা নিয়মিত ছিল। সৌরভের মা নিজে হাতে খাবার বেড়ে দিতেন। এক টেবিলে সৌরভ-সচিন খাচ্ছেন, ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে সেই দৃশ্য মুগ্ধ করার মতোই। বাইশগজের পার্টনারশিপের মতোই মুগ্ধ করা। ওই যে শুরুতেই বললাম, অভিন্নহৃদয় বন্ধু।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকর। শুধু ভারতীয় ক্রিকেটেরই নয়, বিশ্বের দুই আইকন। এই দু-জন শুধুই সতীর্থ ছিলেন, বললে বড় ভুল হবে। অভিন্নহৃদয় বন্ধু। সচিনের সঙ্গে জুনিয়র স্তরের ক্রিকেট থেকেই আলাপ। পরবর্তীতে সিনিয়র দলে একসঙ্গে খেলা। সৌরভের ক্যাপ্টেন্সিতে খেলেছেন সচিন। ক্রিকেট ছাড়লেও দু-জনের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা রয়ে গিয়েছে আগের মতোই। বহুবার সৌরভের বাড়িতে এসেছেন সচিন তেন্ডুলকর। কলকাতায় ম্যাচ থাকলে একটা সময় এই বিষয়টা নিয়মিত ছিল। সৌরভের মা নিজে হাতে খাবার বেড়ে দিতেন। এক টেবিলে সৌরভ-সচিন খাচ্ছেন, ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে সেই দৃশ্য মুগ্ধ করার মতোই। বাইশগজের পার্টনারশিপের মতোই মুগ্ধ করা। ওই যে শুরুতেই বললাম, অভিন্নহৃদয় বন্ধু।
সতীর্থ হোক বা বন্ধু। শুধুই ক্রিকেটের সম্পর্ক নয়। এর বাইরেও মিলেমিশে থাকে আবেগ। আর বন্ধুদের মধ্যে তো অনেক মজাও থাকে। সৌরভের সঙ্গে এমনই এক মজা করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। সেটা অবশ্য যে সে মজা নয়। চিকেন বলে খাইয়ে দিয়েছিলেন অন্য মাংস। যা খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না সৌরভের। যদিও খাওয়ার পর সৌরভ বলেছিলেন, এখানকার চিকেন তো খেতে বেশ! সেই মজার কাহিনি তুলে ধরেছেন খোদ সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ই।
বহু আগের ঘটনা। কেনিয়া সফরে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেখানেই এমন কাণ্ড। সম্প্রতি খাবারের চ্যানেলে সৌরভের স্পেশাল রেসিপি নিয়ে শো হয়েছে। সেখানে সেলিব্রিটি শেফ সনজ্যোৎ কীরের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন সৌরভ। সচিন তেন্ডুলকরের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। সচিনকে তিনি প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। সচিনের পরিবারের প্রশংসায়ও সৌরভ। মাস্টারব্লাস্টারের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন। সেই সচিনই যে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটাবেন, সেটা আশা করেননি সেই মজার তথ্য়ও তুলে ধরেছেন।
কেনিয়া সফরের ঘটনা। নাইরোবিতে সচিন তেন্ডুলকর চেয়েছিলেন কুমিরের মাংস খাবেন। যদিও সৌরভ খেতে রাজি ছিলেন না। সচিন অবশ্য অন্য় চাল চালেন। সেখানকার শেফকে কুমিরের মাংসের ডিশই বানাতে বলেন। সঙ্গে নির্দেশ দেন, খাবারটা টেবিলে সার্ভ করার সময় যেন বলা হয়, এটা চিকেন। সৌরভ বলেন, ‘নাইরোবিতে আমরা একটা বড় রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলাম, যদিও নামটা মনে পড়ছে না। যাই হোক, সেখানে নানা রকম মাংসের ডিশই ছিল। সচিন চেয়েছিল কুমিরের মাংস খেতে। যদিও জানত যে আমি খাব না। শেফকে বলে-কুমিরের মাংসের ভালো ডিশ তৈরি করতে। তবে টেবিলে দেওয়ার সময় যেন জানানো না হয়। তখন চিকেন বলারই নির্দেশ দিয়েছিল। আমরা সকলেই খেয়েছি। সচিন এরপর জিজ্ঞেস করে, খাবার কেমন লাগল। সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল। সচিনকে সেটাই জানাই। আমি বলেছিলাম, এখানকার চিকেন তো খেতে বেশ। তখন ও জানায়, এটা কুমিরের মাংস ছিল।’
সৌরভ কী রিয়্যাকশন দিয়েছিলেন? জানান, ততক্ষণে খেয়ে ফেলেছেন, আনন্দও পেয়েছেন। সচিনকে এ বিষয়ে আর কিছুই বলেননি। খাবারটা সত্যিই সুস্বাদু ছিল, সেটাই সচিনকে বলেছিলেন।
