IND VS NZ: ওয়াশিংটন সুন্দরের মুখেও ‘গডস প্ল্যান’! সেরা উইকেটও বাছলেন…

India vs New Zealand 2nd Test: এর মাঝে নাকি কল্পনাও করেছেন, তাঁর জীবনে বড় কিছু হতে চলেছে। সাদা বলের ক্রিকেটে একটা স্লোগান খুবই পরিচিত। এ বার ওয়াশিংটনের মুখেও সেই 'গডস প্ল্যান'। যা শুনে কৌতুহল আটকে রাখতে পারলেন না ভারতের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার।

IND VS NZ: ওয়াশিংটন সুন্দরের মুখেও 'গডস প্ল্যান'! সেরা উইকেটও বাছলেন...
Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Oct 24, 2024 | 7:18 PM

এর চেয়ে সুন্দর প্রত্যাবর্তন আর কী হতে পারে! দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর টেস্ট খেলার সুযোগ। আর প্রথম ইনিংসেই সাত উইকেট! টেস্ট কেরিয়ারের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান। সব যেন নিখুঁত। অথচ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্কোয়াডে ছিলেনই না ওয়াশিংটন সুন্দর। খেলছিলেন রঞ্জি ট্রফিতে। এর মাঝে নাকি কল্পনাও করেছেন, তাঁর জীবনে বড় কিছু হতে চলেছে। সাদা বলের ক্রিকেটে একটা স্লোগান খুবই পরিচিত। এ বার ওয়াশিংটনের মুখেও সেই ‘গডস প্ল্যান’। যা শুনে কৌতুহল আটকে রাখতে পারলেন না ভারতের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার।

সিরিজের শুরুতেই তিন টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাতে নাম ছিল না সুন্দরের। বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্ট হারের পর স্কোয়াডে যোগ করা হয় ওয়াশিংটন সুন্দরকে। পুনে টেস্টে সরাসরি একাদশে। সাত উইকেট নিয়ে দিনের খেলা শেষে সুন্দর বলছেন, ‘দুর্দান্ত অনুভূতি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভাবছিলাম, সুযোগ মিলবে। কিন্তু সিরিজের শুরুতে অস্বস্তি ছিল স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়ায়। অবশেষে স্কোয়াডে যোগ করা হয় আর সরাসরি একাদশে।’

প্রথম ঘণ্টাতেই আক্রমণে আনা হয়েছিল ওয়াশিংটনকে। যদিও কার্যকর হয়ে উঠছিলেন না। পরিকল্পনায় কী বদলেছিলেন? সুন্দর বলেন, ‘পরিস্থিতি যেমনই হোক, আমি নিখুঁত থাকতে চেয়েছিলাম। সবটাই গডস প্ল্যান। গতির হেরফের করেছি।’ তাঁর মুখে গডস প্ল্যান শুনে দীনেশ কার্তিক বলেন, ‘দুর্দান্ত শব্দচয়ন’। সুন্দর আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় সেশন থেকেই আর্দ্রতা ছিল না। সেটাই কাজে লাগিয়েছি।’

এই খবরটিও পড়ুন

জিও সিনেমায় তাঁর সঙ্গে কথা বলেন অভিনব মুকুন্দও। তিনিও বলেন, সাদা বলের ক্রিকেটে গডস প্ল্যান শুনতে অভ্যস্ত ছিলাম, এ বার লাল-বলের ক্রিকেটেও। যাই হোক, সাতটির মধ্যে কোন উইকেটটি ফেভারিট? সেরা উইকেট বাছতে গিয়ে অবশ্য সমস্যায় পড়লেন সুন্দর। মুকুন্দ তাঁকে অপশন দেন রাচিনের উইকেট কিনা! সহমত সুন্দর। বলেন, ‘হ্যাঁ, রাচিনের উইকেটটাই বলা যেতে পারে। কারণ, ও দুর্দান্ত খেলছিল। তেমনই ড্যারেল মিচেলের উইকেটও গেমচেঞ্জার। টি-ব্রেকের আগে জোড়া উইকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।’