উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সালটা ২০০৭। ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ। ভেনু কিংমিড, ডারবান। অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় যুবরাজ সিংয়ের। পরের ওভারে বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের এক তরুণ পেসার। পরবর্তীতে যিনি কিংবদন্তি হয়ে উঠেছিলেন। স্টুয়ার্ট ব্রড। প্রথম ডেলিভারি, ছয়। দ্বিতীয়, একই ফল। এরপর অবাক দৃশ্য। দিশেহারা ইংল্যান্ড। একের পর এক ডেলিভারি উড়ল গ্যালারিতে। এক ওভারে ছয় ছক্কা। হতভাগ্য বোলার স্টুয়ার্ট ব্রড। আর ব্যাটার ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। সেই মাঠে এ বার খেলতে নামছেন তাঁরই শিষ্য অভিষেক শর্মা। যুবির মতোই বাঁ হাতি বিধ্বংসী ব্যাটার। বাঁ হাতি স্পিনার। ডারবানে পৌঁছেই নস্টালজিক অভিষেক শর্মা।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত সংস্করণে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন। এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই জিম্বাবোয়ে সফরে গিয়েছিল ভারতের তরুণ দল। শুভমন গিলের নেতৃত্বে সেই স্কোয়াডে ছিলেন অভিষেক শর্মাও। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই বিধ্বংসী সেঞ্চুরি। মেন্টর যুবরাজ সিং উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন। সেই সিরিজের পরও তাঁর সঙ্গে নানা টেকনিক নিয়ে কাজ করেছেন যুবি। কেরিয়ারে শুধু যুবরাজ সিংই নন, ব্রায়ান লারা, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো মেন্টর-কোচ পেয়েছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে যুবি হয়ে ওঠাই যে লক্ষ্য ছিল অভিষেকের! কেরিয়ারের সবে শুরু। এখনও অনেক পথ চলা বাকি। তবে ডারবান পৌঁছে আপাতত স্বপ্নে বুঁদ অভিষেক।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত। শুক্রবার শুরু সিরিজ। প্রথম টি-টোয়েন্টি ডারবান। গুরুর ছয়-ছক্কার মাঠে অভিষেক। বোর্ডের পোস্ট করা এক ভিডিয়োতে অভিষেক বলেন, ‘প্রথম বার এই মাঠে এলেও টিভিতে দেখেছি। আর এখন আমি এখানে দাঁড়িয়ে। এটা আমার কাছে স্বপ্নপূরণের মতো। ২০০৭ সালে যুবরাজ সিংয়ের ছয়-ছক্কা থেকেই প্রেরণা পেয়েছিলাম। এখানে প্রথম পা রেখে বোঝার চেষ্টা করছিলাম, কোন প্রান্তে ব্যাট করেছিলেন, মাঠের কোন জায়গাগুলোয় সেই ছয় মেরেছিলেন। আমার কাছে এটা স্বপ্নের মুহূর্ত।’
যুবরাজ সিংয়ের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। অভিষেকের দক্ষিণ আফ্রিকা। ভেনু একই। শুক্রবার ডারবানে কি এমনই কিছু চেষ্টা করবেন অভিষেক শর্মা? করলেও অবাক হওয়ার নেই। সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে ওপেনিংয়ে অভিষেকই জুটি বাঁধবেন এটুকু নিশ্চিত। এরপর কী হবে, কেই বা জানে!