পুনে: রবীন্দ্র জাডেজা যেমন পারফর্ম করেছেন, অন্য যে কোনও দিনই ম্যাচের সেরা হিসেবে অন্য কাউকে ভাবা যেত না। ১০ ওভারে মাত্র ৩৮ রান দিয়ে ২ উইকেট। তার চেয়েও বড় কথা তাঁর ফিল্ডিং। অনেক ম্যাচেই পার্থক্য গড়ে দেয় জাডেজার ফিল্ডিং। পুনেতেও একটা সময় মনে হয়েছিল বাংলাদেশ ২৭০-২৮০ অবধিও পৌঁছাতে পারে। এমন সময়ই জাড্ডু জাদু। জসপ্রীত বুমরার বোলিংয়ে পয়েন্টে অনবদ্য একটা ক্যাচ। বাঁ হাতি জাডেজা ডান দিকে ডাইভিং ক্যাচ নেন। ০.২৩ সেকেন্ড রিয়্যাকশন টাইম! অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ। মুশফিকুর আরও কিছুটা সময় ক্রিজে থাকলে ২৭০ অবধি পৌঁছনো কঠিন হত না বাংলাদেশের। ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে বিরাট কোহলিও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন জাডেজাকে। কী বলছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ভারতীয় টিমে এখন একটা বিশেষ পুরস্কার চালু হয়েছে। ম্যাচের সেরা ফিল্ডার। এই ম্যাচের সেরা ফিল্ডার বাছতে হিমসিম অবস্থা। তবে ম্যাচের সেরার ক্ষেত্রে রোহিত বলছেন, ‘বল হাতে জাড্ডু দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। তেমনই চোখ ধাঁধানো ক্যাচ। কিন্তু সত্যি বলতে, সেঞ্চুরিকে হারানো যায় না।’ টিমে সেরা ফিল্ডারের প্রসঙ্গে রোহিত বলেন, ‘এটা আমাদের একটা স্পেশাল বিষয়। সকলকে তাতানোর জন্যই এটা করা হয়েছে। যে সবচেয়ে বেশি মেডেল জিতবে, তার জন্য স্পেশাল কিছু থাকবে।’
শুধু বাংলাদেশ ম্যাচেই নয়, বিশ্বকাপে আগের সব কটি ম্যাচেই অনবদ্য ফিল্ডিং করেছে ভারতীয় দল। ফিল্ডিং ভালো হলে বোলাররাও আত্মবিশ্বাস পান। আরও আক্রমণাত্মক বোলিং করতে পারেন। সতীর্থদের ওপর ভরসা থাকে। রোহিত যোগ করলেন, ‘এর আগের তিন ম্যাচেও আমাদের ফিল্ডিং দুর্দান্ত হয়েছে। আমি আগেও বলেছি, যে জিনিসগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব সেটা নিয়েই ভাবব। ফিল্ডিংয়ে উন্নতির দিকটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যতটা সম্ভব তাগিদ দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
ভারতীয় শিবিরে সাময়িক আতঙ্কও তাড়া করেছিল। গোড়ালিতে চোট পান হার্দিক পান্ডিয়া। তারপরও বোলিং বিভাগ যে ভাবে পারফর্ম করেছে, আপ্লুত রোহিত। শুরুটা খারাপ হলেও দল দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ বার কঠিন পরীক্ষা। সামনে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ।