অভিষেক সেনগুপ্ত
চাপে চাপা পড়ল পাকিস্তান! পরিস্থিতি যেন তাই। লক্ষাধিক ক্রিকেট প্রেমীর গর্জন। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনও ক্রিকেটারেরই নার্ভ ফেল করতে পারে। পাকিস্তান ব্যাটারদের যেন তাই হল। দুর্দান্ত একটা শুরু, কিন্তু ভারতীয় বোলিং পাল্টা চাপ দিতেই ‘চাপের ঘর’ হয়ে পড়ল পাকিস্তান। ম্যাচের আগে মুখে নানা সতর্ক বার্তাই দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেটাররা। বাবর আজম ৭-০ স্কোর লাইনে বদলের প্রত্যাশার কথা বলেছিলেন। তেমনই হাসান আলি বলেছিলেন, ঘরের মাঠে ভারত চাপে থাকবে। ভারতীয় বোলিংয়ের শুরুটা যেমন হল, তাতে ৩৫০ স্কোরের আশঙ্কাও ছিল। সব পরিস্থিতি বদলে গেল এক লহমায়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে পাটা পিচ। টস জেতেন রোহিত শর্মা। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে অনেকেই অবাক হন। পাকিস্তান অধিনায়কও বলেন, তিনিও টস জিতলে ফিল্ডিং করতেন! পাকিস্তানের ব্যাটিং শুরু হতেই রোহিতের সিদ্ধান্ত ভুল মনে হচ্ছিল। প্রথম স্পেলে মহম্মদ সিরাজের বোলিংও হতাশ করার মতোই। লাইন, লেন্থ কোনওটাই ঠিক হচ্ছিল না। বুমরা রান আটকাতে সফল হলেও উইকেট আসছিল না। কিন্তু একটা ধাক্কা লাগতেই…।
আইসিসি ওডিআই ব্যাটারদের ক্রমতালিকায় শীর্ষে বাবর আজম। পাকিস্তান ইনিংসে তাঁর ব্যাটেই এল সর্বাধিক রান। এই প্রথম ওডিআইতে ভারতের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরি বাবরের। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের প্রত্যাবর্তন অনবদ্য। ১৫৫-২ থেকে ১৯১ রানেই অলআউট পাকিস্তান। বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং, ক্যাপ্টেন্সি, ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রেও দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত। সব মিলিয়ে ‘প্রথম পর্বে’ নিখুঁত ভারত। শার্দূল ঠাকুর ছাড়া সকলেই দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে আলাদা করে বলতে হয় জসপ্রীত বুমরার ৭-১-১৯-২ বোলিং পরিসংখ্যান। প্রথম স্পেলে উইকেটহীন ছিলেন। নতুন স্পেলে ধস নামালেন।
এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন কুলদীপ যাদব। গত ওডিআই বিশ্বকাপেও নিয়েছিলেন ২ উইকেট। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এ দিনও সফল কুলদীপ যাদব। এ বার ব্যাটন ব্যাটারদের হাতে। শাহিন আফ্রিদির প্রথম স্পেল সামলে দিলে এই লক্ষ্য কঠিন হওয়ার কথা নয়।