
কলকাতা: “শুভমন গিলের মতো ক্রিকেটারকে ছেড়ে দেওয়ায় কোনও আক্ষেপ নেই।” ২০২৩ আইপিএল (IPL 2023) চলাকালীন এমনই মন্তব্য করেছিলেন কেকেআর সিইও ভেঙ্কি মাইসোর। কোয়ালিফায়ার ২ ম্যাচের পর তাঁকে এই প্রশ্ন করা হলে কি একই উত্তর দেবেন? হয়তো থমকাবেন। সেদিনের মতো গলায় আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়বে না। কারণ শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চলতি আইপিএলের তৃতীয় শতরান করে ফেলেছেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। এ বারের মরসুমের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী। ব্যাটে রানের ফুলঝুরি। গুজরাট টাইটান্সকে (GT vs MI) একার জোরে ম্যাচ জেতাচ্ছেন। হয়তো দ্বিতীয় বার আইপিএল ট্রফিটাও জেতাবেন। নাইট সিইও-র অনুশোচনা না থাকলেও গিলের মতো প্রতিভাকে ছেড়ে দেওয়ায় মাথা চাপড়াচ্ছেন কেকেআর সমর্থকরা। গুজরাট টাইটান্সের জার্সিতে শুভমন গিলকে দেখে নাইট সমর্থকদের হিংসে হচ্ছে বইকি। আফসোসের পাশাপাশি চলছে কেকেআর ম্যানেজমেন্টের মুন্ডপাত। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports–র এই প্রতিবেদনে।
২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে শুভমন গিলের ব্যাট এভাবেই শাসন করেছিল। সে বারের নিলামে শুভমনকে ছিনিয়ে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। তখন পঞ্জাবের ব্যাটার ছিলেন একদলা মাটির মতো। আইপিএলের জগতে প্রথম প্রবেশ কেকেআরের হাত ধরে। চারটে মরসুম ধরে কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তাঁকে গড়ে পিটে তৈরি করেছে। বলা যায় কুঁড়ি থেকে বটবৃক্ষ হওয়ার যাত্রাপথটা শুরু হয়েছিল কেকেআরের হাত ধরে। যার সুফল ভোগ করছে গুজরাট টাইটান্স। ২০২২ সালের মেগা নিলামের আগে শুভমনকে রিলিজ করে দেয় কেকেআর। নিলামের আগে ৪ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার নিয়ম বেঁধে দিয়েছিল বিসিসিআই। নাইটদের অগ্রাধিকার ছিল আন্দ্রে রাসেল, বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারিন ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তাতে আখেরে লাভ হয় গুজরাট টাইটান্সের। ৮ কোটি টাকার বিনিময়ে নতুন দল গুজরাট টাইটান্স কিনে নিয়েছিল গিলকে। জার্সি বদলাতেই শুভমনের পারফরম্যান্স ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। ২০২২ সালে গিলের রান সংখ্যা ছিল ৪৮৩। গুজরাটকে চ্যাম্পিয়ন করার পিছনে অন্যতম অবদান ছিল তাঁর। অরেঞ্জ ক্যাপের তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যে ছিলেন। গুজরাটের হয়ে দ্বিতীয় মরসুমে একাই লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছেন শুভমন। এ বার সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীর তালিকায় শীর্ষস্থানে তিনি। পার করে গিয়েছেন ৮০০ রানের গণ্ডি। অর্থাৎ গত মরসুমের চেয়ে দ্বিগুণ রান।
শুধু শুভমন গিল নন, নাইটদের ছেড়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে পীয়ুষ চাওলা, অজিঙ্ক রাহানে, কুলদীপ যাদবরা নিজ নিজ ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ভালো পারফর্ম করেছেন। অতীতে মহম্মদ সামি, ঋদ্ধিমান সাহা, ক্রিস গেইল, সূর্যকুমার যাদবদের মতো ক্রিকেটাররাও নাইট রাইডার্স থেকে অন্য দলে গিয়ে ফুল ফুটিয়েছেন। ঋদ্ধি, সামি, সূর্যরা নিজ নিজ ফ্র্যাঞ্চাইজির সম্পদ।