দীপঙ্কর ঘোষাল : কলকাতা নাইট রাইডার্সে মরসুমের শুরুতে যোগ দিতে পারেননি বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার। সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাসকে নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। বাংলাদেশ বোর্ড থেকে এনওসি পেতে দেরি হয়। প্রথম দু-ম্যাচে পাওয়া যায়নি কিপার ব্যাটার লিটনকে। সাকিব আল হাসান ব্যক্তিগত কারণে আইপিএল থেকেই নাম তুলে নেন। যদিও মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশ বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরেই সাকিব আর আসেননি। কিপার ব্য়াটার লিটন দাস এলেও সুযোগ পান মাত্র এক ম্যাচে। আইপিএল এবং কেকেআরে অভিষেক সুখকর হয়নি লিটনের। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে অভিষেকে ৪ রান। সবচেয়ে অস্বস্তিকর ছিল উইকেট কিপিংয়ে। লো-স্কোরিং ম্যাচে বোলিং আক্রমণের সৌজন্য়ে একটা সময় জয়ের স্বপ্নও দেখতে শুরু করে কেকেআর। কিন্তু লিটনের জোড়া স্টাম্পিং মিস সেই স্বপ্নে জল ঢালে। এ বার দেশে ফিরে গেলেন বাংলাদেশের উইকেট কিপার-ব্য়াটার। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টানা চার ম্যাচ হারের পর গত ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরকে হারিয়েছে কেকেআর। এর মধ্যে চাপ বাড়ল নতুন করে। এ দিন সকালেই দেশে ফিরেছেন লিটন। কবে ফিরবেন, বলতে পারছে না কেকেআর শিবিরও। কিছুক্ষণ আগেই সাংবাদিক সম্মেলন শেষে কেকেআরের মিডিয়া ম্যানেজার বলেন, ‘পরিবারে মেডিক্যাল এমার্জেন্সি থাকায় দেশে ফিরে যেতে হয়েছে লিটনকে। আজ সকালেই ঢাকা গিয়েছে লিটন। কঠিন সময়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ানো জরুরি।’ কবে ফিরবেন, এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য দিতে পারলেন না। এক ম্য়াচ খেলে আর সুযোগ না পাওয়া লিটন আদৌ ফিরবেন কিনা, তা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হল।
গুজরাট টাইটান্স ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন কেকেআরের সহকারী কোচ জেমস ফস্টার। আন্দ্রে রাসেলের ব্য়াটিং ফর্ম ক্রমশ অস্বস্তি হয়ে দাঁড়াচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য। একই ভাবে স্পিনার সুনীল নারিনের বোলিংও চিন্তার অন্যতম কারণ। কেকেআরের সহকারি কোচ অবশ্য বলছেন, ‘রাসেলের ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে আমরা একে বারেই চিন্তিত নই। আর নারিনের ক্ষেত্রে বলব, খেলায় এমন ওঠা-নামা থাকেই। ও উইকেট নিতে না পারলেও প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করছে। সে কারণেই আমরা খুব বেশি ভাবছি না।’