দীপঙ্কর ঘোষাল : গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্য়াচ। প্রথমেই যেটা মনে পড়ে, রিঙ্কু সিং ম্য়াজিক। অ্যাওয়ে ম্য়াচে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে টানা পাঁচটি ছয় মেরে মহাকাব্যিক জয় এনে দিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। এখন প্রতিটি ম্য়াচেই সেই ক্লিপিংস দেখানো হয়। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ফিরতি ম্য়াচে টস হারেন নীতীশ রানা। প্রথমে ব্য়াট করতে হয়। বড় ধাক্কা জেসন রয়কে পিঠের চোটে না পাওয়া। তাঁর পরিবর্তে একাদশে ফিরলেন আফগান কিপার-ব্য়াটার রহমানুল্লা গুরবাজ। শুরুর দিকে ম্য়াচগুলিতে ভালো ছন্দে ছিলেন গুরবাজ। এরপরই ফর্ম হারান। প্রত্যাবর্তন ম্য়াচে অনবদ্য রহমানুল্লা গুরবাজ। কেকেআর-কে গত মরসুম থেকেই চাপে রেখেছে টপ অর্ডার। বিশেষ করে ওপেনিং জুটি। গত ম্য়াচে আরসিবির বিরুদ্ধে অবশেষে সাফল্য পায় কেকেআরের ওপেনিং জুটি। এ দিন ফের ব্য়র্থ। কেকেআরকে ভরসা দিলেন গুরবাজই। প্রথমে ব্য়াট করে গুজরাট টাইটান্সকে ১৮০ রানের লক্ষ্য দিল নাইট রাইডার্স। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কেকেআরের ব্য়াটিং অর্ডারে হঠাৎই চমক। ওপেনিং জুটি ভাঙল মাত্র ২৩ রানেই। তিন নম্বরে নামানো হল শার্দূল ঠাকুরকে। ফাটকা নাকি বিশেষ পরিকল্পনা ছিল! যাই হোক না কেন, এই পরিকল্পনা কাজে দিল না। ৪ বলে খাতা না খুলেই ফিরলেন শার্দূল। ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে একেবারেই ছন্দে দেখাল না। তিনি ফিরলেন ১৪ বলে ১১ রানে। নারায়ণ জদগীশন এবং ভেঙ্কটেশ অন্য়দিক থেকেও দলের ক্ষতিই করলেন। দুটো ভুল রিভিউ নিলেন। দুটোর ক্ষেত্রেই নিজেরাও হয়তো ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত ছিলেন আউটের। তারপরও রিভিউ নিয়ে নষ্ট হল। অধিনায়ক নীতীশ রানাও ব্য়াট হাতে নজর কাড়তে ব্য়র্থ।
কেকেআরকে টানলেন রহমানুল্লা গুরবাজ। শেষ দিকে কিছুটা রাসেল ঝড়। গুরবাজ ক্রমশ শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি স্বদেশীয় বোলার এবং ফিল্ডারের ক্য়াচেই ফিরলেন। কেকেআর ইনিংসের ১৬তম ওভারে নুর আহমেদের বোলিংয়ে মিড উইকেটে রশিদ খানের দুর্দান্ত ক্যাচ। আফগান যুগলবন্দিতে আফগান গুরবাজ ফিরলেন ৩৯ বলে ৮১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। এ দিন অবশ্য রিঙ্কু ঝড় উঠল না। প্রথম ৯ বলে রিঙ্কু করেছিলেন মাত্র ২ রান। আউট হলেন ২০ বলে ১৯ রানে। শেষ দিক আন্দ্রে রাসেলের ১৯ বলে ৩৪ রান। প্রতি বলেই বড় শট নয়, বরং অনেক বেশি দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন বার্থডে বয় আন্দ্রে রাসেল।