AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rinku Singh : পা ছুঁয়ে প্রণাম খুদে অনুরাগীদের, আলিগড়ের হিরো এখন রিঙ্কুই

গত সপ্তাহেই রিঙ্কু আলিগড় ফিরে গিয়েছেন। এরপর নিজের অ্যাকাডেমিতে পৌঁছালে সেখানকার অনুশীলনরত ক্রিকেটারদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়।

Rinku Singh : পা ছুঁয়ে প্রণাম খুদে অনুরাগীদের, আলিগড়ের হিরো এখন রিঙ্কুই
বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে রিঙ্কুImage Credit: Instagram
| Edited By: | Updated on: May 31, 2023 | 8:00 AM
Share

আলিগড়: আইপিএল শেষ হয়ে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু রিঙ্কু সিংয়ের ‘দাদাগিরি’ চলছে এখনও। কলকাতা নাইট রাইডার্স ব্যাটারকে রাতারাতি তারকা বানিয়ে দিয়েছে ২০২৩ আইপিএল। এ বারের মতো আইপিএল চুকে বুকে গিয়েছে। রিঙ্কুও (Rinku Singh) ফিরেছেন তাঁর প্রিয় আলিগড়ে। মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। এরপর চলে গিয়েছেন সোজা মহুয়াখেরা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। যেখানে রয়েছে তাঁর ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। একদিকে চলছে হোস্টেল তৈরির কাজ, অন্যদিকে ক্রিকেট প্রতিভাদের তুলে আনার। নিজের অনুশীলনের পাশাপাশি অ্যাকাডেমির ছাত্রদের ব্যাটিংয়ের খুঁটিনাটি শিখিয়েছেন। তাঁকে দেখে খুদেদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ নিতে চায় সেলফি, কেউ অটোগ্রাফ। অনেকেই রিঙ্কুর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে চাইল। বিস্তারিত TV9 Bangla Sportsর এই প্রতিবেদনে।

মহুয়াখেরা ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ছাত্ররা রিঙ্কুর আসার অপেক্ষায় ছিল। গত সপ্তাহেই রিঙ্কু আলিগড় ফিরে গিয়েছেন। এরপর নিজের অ্যাকাডেমিতে পৌঁছালে সেখানকার অনুশীলনরত ক্রিকেটারদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। সেদিনও রিঙ্কুর ব্যাগে ছিল আইপিএলে পাঁচ ছক্কার ওই ব্যাট। রিঙ্কুর সঙ্গেই ছিলেন কোচ মাসুদ উজ জাফর আমিনি। প্রায় দুই ঘণ্টা মাঠে থাকেন। মাঠ থেকে হোস্টেলের দিকে এগোতেই অনুরাগীরা তাঁকে ঘিরে ফেলে। এরপর তিনি হোস্টেলে গিয়ে কাজের অগ্রগতি দেখে আসেন। তিনি অভাবী পরিবারের শিশুদের ক্রিকেট শেখানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। বলেন, দেশকে আলিগড় থেকে ক্রিকেটারদের দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

হোস্টেল তৈরি সম্পর্কে রিঙ্কু বলেছেন, “অর্জুন সিং নামে এক দাদার জমি ছিল। তাই ওখানেই হোস্টেল তৈরির পরিকল্পনা করি। যারা আলিগড় থেকে দূরে থাকে তারা এখানে এসে থাকতে পারবে। শুধু ক্রিকেটারদের জন্যই নয়, সিলেক্টরদের কথা ভেবে ঘর তৈরি করা হচ্ছে। যদি কোনও সিলেক্টর ম্যাচ দেখতে আসেন তাঁরা এখানে থাকতে পারবেন। আমি প্রথমেই ২০ লাখ টাকা দিয়েছি। বাচ্চাদের এতে সাহায্য হবে। অতীত জীবনে আমি প্রচুর বাধার সম্মুখীন হয়েছি। চাই না উঠতি প্রতিভারা কোনও রকমভাবে বঞ্চিত হোক।”

তাঁকে নিয়ে যতই মাতামাতি হোক, রিঙ্কু নিজের পা মাটিতেই রেখেছেন। তারকাসুলভ হাবভাব নেই। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিঙ্কু সরাসরি আলগড়ের বাড়িতে পৌঁছন। আইপিএলে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ট্রফি দেখান বাড়িতে। মা-বাবার আশীর্বাদ নেন। এরপর সোজা চলে যান সেন্টার পয়েন্ট বাজারে। সেলুনে গিয়ে চুল কাটানোর পর কিছুক্ষণ জিম করে বাড়ি ফেরেন। রাতে ঝড়বৃষ্টির কারণে লোডশেডিং হয়েছিল। তাই বাড়ির ছাদে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন রিঙ্কু।