দিল্লি ক্যাপিটালস ১২৭-৯ (২০ ওভারে)
কলকাতা নাইট রাইডার্স ১৩০-৭ (১৮.২ ওভারে)
কলকাতা: যত দিন যাচ্ছে, তাঁর নামের আগে ‘ক্রাইসিস ম্যান’ শব্দটা আরও পোক্ত হয়ে উঠেছে। রান দরকার। তিনি আছেন তো! আরসিবি ম্যাচে করেছিলেন নট আউট ৪১। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে ৫৩। শুধু চেন্নাই ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। সেই ভেঙ্কটেশ আইয়ার আবার আগুন ঝরালেন। এ বার বোলার ভেঙ্কটেশের দেখা মিলল আইপিএলে (IPL)। সিমরন হেটমেয়ার ফেরালেন প্রথমে। খাতা খোলার আগেই তাঁর শিকার অক্ষর প্যাটেল। ব্যাট হাতে ওপেন করতে নেমে অবশ্য ১৪ করে ফিরে গেলেন ইন্দোরের ছেলে।
ভেঙ্কটেশ এবং সুনীল নারিন ও লকি ফার্গুসনের দুরন্ত বোলিংয়ের জোরে দিল্লিকে উড়িয়ে আইপিএলের প্লে অফের আশা আবার জাগিয়ে তুলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট ইওন মর্গ্যানের টিমের। পঞ্জাব, হায়দরাবাদ, রাজস্থানকে হারাতে পারলে প্লে-অফের অঙ্কটা আরও সহজ হয়ে যাবে নাইটদের কাছে।
ঋষভ পন্থের দিল্লি প্রথম পর্বের মতো আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বেও দারুণ ফর্মে। আগের দুটো ম্যাচ জিতে আমিরশাহিতে কেকেআরের বিরুদ্ধে তিন নম্বর ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন অশ্বিন, অক্ষররা। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে রিকি পন্টিংয়ের টিমের কাছ থেকে দারুণ জয় ছিনিয়ে নিল কেকেআর। দিল্লির ১২৭-৬ এর লক্ষ্য ১০ বল বাকি থাকতেই তুলে ফেলল মর্গ্যানের টিম (১৩০-৭)।
দিল্লি এবং কেকেআর একটা করে বদল করেছিল টিমে। চোট পাওয়া আন্দ্রে রাসেলকে নামায়নি কলকাতা। তাঁর বদলে খেললেন টিম সাউদি। তিনিও নিরাশ করেননি। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। দিল্লিও রানে না থাকা পৃথ্বী শ-কে বসিয়ে স্টিভ স্মিথকে খেলায়। ওপেন করতে নেমে স্মিথও ৩৯ রান করে গেলেন। শারজার পিচ স্লো। স্পিনাররাই যে শাসন করবেন, মোটামুটি আন্দাজ করা গিয়েছিল। হলও তাই। শুরুতেই অবশ্য কেকেআরকে স্বস্তি দিয়েছিলেন লকি ফার্গুসন। ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই ফিরিয়ে দেন শিখর ধাওয়ানকে (২৪)। পরের দিকে আবার স্মিথকে ফেরান তিনিই। নারিন এই ম্যাচে অনবদ্য পারফর্ম করেন। চোট সারিয়ে ফেরা শ্রেয়স আইয়ার দারুণ ফর্মে। এ দিন তিনি সেট হওয়ার আগেই নারিনের বলে ১ রানে বোল্ড হয়ে ফিরলেন। ললিত যাদবকে (০) ফেরালেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার। ক্যাপ্টেন পন্থ অবশ্য ৩৯ রান করে টিমকে কিছুটা টানার চেষ্টা করেছিলেন।
১২০ বলের ম্যাচে ১২৮ রানের টার্গেট কিছুই নয়। এই রকম ম্যাচ জিততে হলে দারুণ বোলিং দরকার পড়ে। তার উপর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরতে পরতে পাল্টে যায়। মর্গ্যানের টিম অবশ্য কোনও ভাবেই দিল্লি ম্যাচ হাতছাড়া করতে চায়নি। শুভমন গিল ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। নীতিশ রানা ২৭ বলে ৩৬ নট আউট থেকে বাকি কাজটা শেষ করেন। মাত্র ১০ বলে ঝড় বইয়ে দিয়ে যান নারিন। ২টো ছয় ও একটা চার সহকারে ২১ রান করেন তিনি। আবেশ খানের ৩ উইকেটের পাশাপাশি অশ্বিন, রাবাডা, নর্টজে ১টি করে উইকেট নিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: দিল্লি ক্যাপিটালস ১২৭-৯ (স্মিথ ৩৯, পন্থ ৩৯, শিখর ২৪, নারিন ২-১৮, লকি ২-১০, ভেঙ্কটেশ ২-২৯)। কলকাতা নাইট রাইডার্স (নীতিশ নট আউট ৩৬, শুভমন ৩০, নারিন ২১, আবেশ ৩-১৩, নর্টজে ১-১৫)।