ব্লুমফন্টেন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টানা দুটি জয়। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে খাদের কিনারা থেকে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেছিলেন মার্নাস লাবুশেন ও অ্যাস্টন অ্যাগার। অষ্টম উইকেটে অনবদ্য জুটি গড়েছিলেন তাঁরা। এ দিন মার্নাস লাবুশেন ও ডেভিড ওয়ার্নারের বিধ্বংসী ইনিংস। ওয়ান ডে ফরম্যাটে যেন ‘বিগ ব্যাশ’ মেজাজে ব্যাট করলেন। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৯৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৪১.৫ ওভারে ২৬৯ রানে অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২৩ রানের বিশাল জয় অজিদের। ৪ উইকেট নিলেন লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রথম ওয়ান ডে-তে সুপার সাব হিসেবে অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেছিলেন মার্নাস লাবুশেন। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি। ঠিক সময়ে নির্বাচকদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি শুধু টেস্ট স্পেশালিস্ট নন। ওয়ান ডে ক্রিকেটটাও পারেন। দ্বিতীয় ম্যাচে সরাসরি একাদশে সুযোগ। নির্বাচকদের চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিলেন লাবুশেন।
টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। তখন হয়তো ভাবতেও পারেননি, কত বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন! প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৯২ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ান ডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় সর্বাধিক স্কোর। জোড়া সেঞ্চুরি ডেভিড ওয়ার্নার এবং মার্নাস লাবুশেনের। দীর্ঘদিন থেকেই ছন্দহীনতায় ভুগছিলেন ওয়ার্নার। সঠিক সময়েই যেন সেঞ্চুরি এল তাঁর ব্যাটে।
ওয়ার্নার-ট্রাভিস হেডের ওপেনিং জুটি ১০৯ রান যোগ করে। তিনে নেমে অধিনায়ক মিচেল মার্শ প্রথম বলেই আউট। এরপর শুধুই ওয়ার্নার-লাবুশেন দাপট। তৃতীয় উইকেটে ১২৪ বলে ১৫২ রান যোগ করে এই জুটি। ওয়ার্নার ১০৬ রানে ফেরেন। জশ ইংলিশকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৬২ বলে ৮৩ রান যোগ করেন লাবুশেন। এরপর কার্যত সঙ্গীর অভাবে ভুগলেন মার্নাস। উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়ায় তিনি আরও বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন। ৯৯ বলে ১২৪ রানের অনবদ্য ইনিংস লাবুশেনের। পরপর দুটি অনবদ্য ইনিংসে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে কি শেষ মুহূর্তে এন্ট্রি হবে লাবুশেনের?