
নয়াদিল্লি: একটা ট্রফি পরবর্তী প্রজন্মকে নতুন করে স্বপ্ন দেখায়। ভারতীয় ক্রিকেটে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয় তেমনই ছিল। লর্ডসের ব্যালকনিতে কপিল দেবের হাতে বিশ্বকাপের ট্রফি, শুধুমাত্র ট্রফিই ছিল না। নতুন প্রজন্মের বিশ্বাস ছিল। সেই বিশ্বাস থেকেই আবারও ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখতে পেরেছে পরবর্তী প্রজন্ম। বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, এক বার হয়েছে যখন, আবারও সম্ভব। হয়েছেও। ২৮ বছরের ব্য়বধানে ২০১১ সালে দ্বিতীয় বার ওয়ান ডে ফরম্য়াটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ১৯৮৩’র বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য় সুনীল গাভাসকর। ভারতীয় ব্য়াডমিন্টনে থমাস কাপ জয়কে ৮৩’র সঙ্গেই তুলনা করছেন লিটল মাস্টার। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর প্রকাশ পাডুকোন অ্যাকাডেমিতে গিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের আইকন সুনীল গাভাসকর। সেখানে দেখা হয় পুরুষদের ব্যাডমিন্টনে দেশের এক নম্বর প্লেয়ার লক্ষ্য সেন। ক্রিকেটের কিংবদন্তির সঙ্গে ছবিও পোস্ট করেছিলেন লক্ষ্য়। ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমিতে ভিজিটের পর ভারতের ব্য়াডমিন্টন কিংবদন্তি প্রকাশ পাডুকোন সম্পর্কে গাভাসকর বলেন, ‘প্রকাশ সবসবময়ই আমার কাছে এক নম্বর। পুনেতে ওর পারফরম্য়ান্স আমি কোনও দিনই ভুলব না (দু-বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন চিনের প্রতিপক্ষকে হারিয়েছিলেন প্রকাশ পাডুকোন)। ওর খেলা দেখার সময় পায়ের দিকে নজর রাখতাম। এত সুন্দর ভাবে কোর্ট কভার করতে দেখে অবাক হয়ে যেতাম।’
ছেলেবেলা থেকেই ব্য়াডমিন্টনের খোঁজ রাখেন ক্রিকেট কিংবদন্তি। প্রত্য়াশিত ভাবেই গত বছর ভারতের থমাস কাপ জয়েও নজর রেখেছিলেন। ইতিহাস গড়েছিল ভারত। প্রথম বার থমাস কাপ জিতেছিল। ভারতীয় ক্রিকেটে ৮৩-র বিশ্বকাপ যে ভূমিকা নিয়েছিল, ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে থমাস কাপ জয়ও তেমনই একটা অধ্য়ায়, এমনটাই মনে করেন গাভাসকর। বলছেন, ‘থমাস কাপ জয়ে নজর রেখেছিলাম। আমাকে ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ জয় মনে করিয়েছিল এই জয়। আমরা প্রতিযোগিতায় আন্ডারডগ ছিলাম। আমাদের কেউই হিসেবের মধ্যে রাখেনি। সেখান থেকে এত বড় অঘটন ঘটিয়েছিলাম…। থমাস কাপেও ঠিক যেন সেটাই ঘটেছিল। শ্রীকান্ত, লক্ষ্য, প্রণয়রা অবিশ্বাস্য এবং সাত্বিক-চিরাগ জুটি অনবদ্য খেলেছে।’