কলকাতা: শেষবেলায় চমক। ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্স গ্রুপ লিগে তাদের শেষ হোম ম্যাচ খেলবে আগামী ২০ মে। প্রতিপক্ষ লখনউ সুপার জায়ান্টস (KKR vs LSG)। দুটি দলেরই লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ এটি। সেই ম্যাচ ঘিরে অভিনব চিন্তাভাবনা লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG) শিবিরে। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, কেকেআরের বিরুদ্ধে সেদিন মোহনবাগানের (Mohun Bagan) সবুজ মেরুন জার্সি পরে খেলবেন ক্রুণাল পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন এলএসজি। বিষয়টি এখনও পরিকল্পনা স্তরে রয়েছে। এমনটা হলে অবাক হওয়ারও কিছু নেই। কারণ লখনউ সুপার জায়ান্টসের মালিকানা সঞ্জীব গোয়েঙ্কার। এদিকে মোহনবাগানের অন্যতম মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। যে দল ভবিষ্যতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস নামে খেলবে। এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে তা হবে অভিনব। আইপিএলের মঞ্চে মিলবে আইএসএলের ছোঁয়া। সবুজ মেরুন জার্সির সঙ্গে এ রাজ্যের ফুটবলপ্রেমীদের আবেগ জড়িয়ে আছে। ইডেন গার্ডেন্সে চলতি আইপিএলের (IPL 2023) শেষবেলায় সেই আবেগকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
লখনউ সেদিন সবুজ মেরুন জার্সি পরে নামলে অনেক কিছু বদলে যেতে পারে। দু ভাগ হয়ে যেতে পারে ইডেন। যেমনটা হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস বা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর টিমের ক্ষেত্রে। মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিরাট কোহলির সমর্থকরা সেদিন ইডেনে গলা ফাটিয়েছিলেন। ২০ মে অর্থাৎ আগামী শনিবার লখনউ যদি সবুজ মেরুন জার্সি পরে খেলে তাহলে ফের আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যাবে ইডেনের সমর্থন। আজ, রবিবার সিএসকের বিরুদ্ধে চিপকের মাঠে খেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে হেরে প্লে অফের সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে কেকেআরের। আজ চিপকের মাঠে পা হড়কালে এ বারের মতো আইপিএলে ইতি টানবে কেকেআর। সেক্ষেত্রে ঘরের মাঠে লখনউয়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াবে কেকেআরের জন্য।
যদিও কলকাতায় এসে লখনউয়ের জার্সি বদলের বিষয়টি পুরোটাই জল্পনার উপর রয়েছে। লখনউয়ের তরফে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তার আগে বিসিসিআইয়ের অনুমতির প্রয়োজন। টিভি ৯ বাংলা-কে লখনউ সুপার জায়ান্সের মিডিয়া ম্যানেজার চন্দ্রপ্রকাশ বলেছেন, “বিষয়টি এখনও পরিকল্পনা স্তরে রয়েছে। এর জন্য বোর্ডের অনুমতির প্রয়োজন।” এদিকে কেকেআর বনাম এলএসজি ম্যাচ আরও একটি দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গৌতম গম্ভীর এখন লখনউয়ের মেন্টর। যাঁর অধীনে দু’বার ট্রফি ঢুকেছিল কেকেআরের ক্যাবিনেটে। তারপর থেকে কলকাতার দলটি ট্রফি শূন্য।