লখনউ : আইপিএলে অভিষেক হয়েছে গত মরসুমে। তবে ঘরের মাঠে অভিষেক হল এ বার। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই ৫০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়। লখনউ সুপার জায়ান্টস শিবির উচ্ছ্বাসে ভাসলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ। ব্যাটিংয়ে কাইল মেয়ার্স এবং বোলিংয়ে মার্ক উড। টিম গেমে জয় এলেও এই দু-জনের অবদান অনেক বেশি। এ বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কাইল মেয়ার্সের সৌজন্যে বড় রান। মার্ক উডের প্রথম স্পেলেই পরপর ধাক্কা। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট। অনবদ্য একটা পারফরম্যান্সে ফুল ‘মার্কস’ পেয়েছেন মার্ক উড। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতেছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের এই পেসার। ঘরের মাঠে জিতে উচ্ছ্বসিত লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও। ম্যাচের নায়ক ও লখনউ অধিনায়ক ম্যাচ শেষে যা বললেন। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ম্য়াচের সেরা মার্ক উড বলছেন, ‘এর আগে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছি। ভালো পারফর্ম করতে পারিনি। লখনউ জার্সিতে ছাপ ফেলতে চেয়েছিলাম। সব কিছু আমার প্রত্য়াশা মতোই হয়েছে, খুবই ভালো লাগছে। সত্যি একটা মুহূর্ত অবধি দুর্দান্ত অনুভূতি হয়েছে। শিশিরের প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমার বোলিংয়েও সেটা কাজে লেগেছে।’ বোলিংয়ের সময় রান আপে কিছুটা সমস্য়ায় দেখা গিয়েছিল মার্ক উডকে। ডাগআউটে কোচের সঙ্গেও সেটা নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে। সে সব অবশ্য মাথায় রাখেননি। ব্য়াটারদের সেট করেছেন। তারপরই উইকেট। সব কিছুই যেন পরিকল্পনামাফিক হয়েছে। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল এবং কোচিং স্টাফদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না মার্ক। যোগ করলেন, ‘ছন্দ খুঁজে পেয়ে উইকেট নিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। এখানে রাতে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলাম। এরকমই পরিস্থিতি ছিল। তবে ম্যাচের যে তাগিদ সেটা প্রস্তুতিতে পাওয়া যায় না। লোকেশ আমার ভূমিকা সহজ রাখার চেষ্টা করেছিল। মর্নে মরকেল অনেক পরামর্শ দিয়েছে। দেশের হয়ে খেলার সময় যা করি, সেটাই করতে বলেছে। মাঠ এত ভেজা ছিল, লম্বা পা ফেলে বোলিং না করার চেষ্টায় ছিলাম। তাতে সুবিধাই হয়েছে।’
লোকেশ রাহুলের ব্য়ক্তিগত ফর্ম হোক কিংবা নেতৃত্ব। নানা সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। দিল্লি ক্য়াপিটালসের বিরুদ্ধে ব্য়াটিংয়ে সাফল্য না পেলেও নেতৃত্বে নজর কেড়েছেন লোকেশ রাহুল। প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। সেই অনুযায়ী বোলারদের রোটেশন করেছেন। পরিকল্পনা কাজেও দিয়েছে। মরসুমের প্রথম এবং ঘরের মাঠে অভিষেক ম্যাচ জিতে লোকেশ রাহুল বলেন, ‘পিচ নিয়ে কোনও ধারনাই ছিল না। তবে জিতে শুরু করতে পারায় ভালো লাগছে। আত্মবিশ্বাস বাড়বে। কাইল যেভাবে ব্যাট করেছে, একটা সময় মনে হয়েছিল গড় স্কোরের চেয়ে আমরা ২০-৩০ রান বেশি করেছি। বাকি ব্যাটাররাও দারুণ তাগিদ দেখিয়েছে। শিশিরের জন্য পরের দিকে ব্যাটিং সহজ হবে মনে হয়েছিল। আমাদের বোলাররা ভালো পারফর্ম করায় সেটা কোনও সমস্যাই হয়ে দাঁড়ায়নি।’ এই ম্যাচে জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ রাহুল। কেন না, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দিন যার, সাফল্য তার।