BENGAL RANJI: বাংলা দলে মন্ত্রী মনোজ, সামনে জোড়া চ্যালেঞ্জ

মনোজের দাবি, "ক্রিকেট চলাকালীন তাঁর বিধানসভায় কিভাবে কাজ চলবে, তার জন্য তিনি টিম তৈরি করে দিয়েছেন। সেই দল কাজ করবে। আর আমি রাজনীতিতে যখন যোগ দিই, তখন দিদি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়)কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমি কি ক্রিকেটটা খেলতে পারব? দিদি বলেছিলেন, কেন পারবে না!"

BENGAL RANJI: বাংলা দলে মন্ত্রী মনোজ, সামনে জোড়া চ্যালেঞ্জ
ফের বাংলা দলে মনোজ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2021 | 11:11 PM

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতাঃ ক্রিকেট (CRICKET)ছাড়ছেন না তিনি। এই নিয়ে আলোচনা কয়েকদিন ধরেই ঘোরাঘুরি করছিল। এবার বাংলা( BENGAL) দলে ফের একবার মনোজ তিওয়ারির(MANOJ TIWARI) নাম। শেষ হল সব জল্পনার অবসান। বাংলা দলে ফের সুযোগ পাওয়ার পর TV9 বাংলাকে  মনোজ জানান, “দিদি আমাকে আগেই আশ্বাস দিয়েছিলেন, রাজনীতিতে (POLITICS)এলেও তুমি খেলতে পারবে। আর আমাকে মোটিভেট করে রঞ্জি(RANJI TROPHY)। যেটা বাংলার হয়ে এখনও জিততে পারিনি।”

সোমবার সন্ধেয় সিএবির তরফ থেকে প্রকাশিত হল, বাংলার সিনিয়র দলের হয়ে ফিটনেস ক্যাম্পের সূচি। ফিটনেস ক্যাম্প হবে আগামি ২৩ তারিখ। সেখানে যোগ দিতে পারবেন বাংলার ৩৯জন ক্রিকেটার। সূচিতে আট নম্বরে রয়েছে মনোজ তিওয়ারির নাম।

সম্প্রতি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের হয়ে জিতে হাওড়া থেকে বিধায়কও হয়েছেন। পেয়েছেন মন্ত্রিত্বও। এত দায়িত্ব সামলে ক্রিকেটটা কি চালিয়ে যেতে পারবেন মনোজ? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল বাংলার ক্রিকেটমহলের মনে। বাংলা দলে ডাক পাওয়ার পর মনোজ TV9 বাংলাকে দিলেন একটি টেলিফোনিক সাক্ষাৎকার। সেখানে মনোজের দাবি, “ক্রিকেট চলাকালীন তাঁর বিধানসভায় কিভাবে কাজ চলবে, তার জন্য তিনি টিম তৈরি করে দিয়েছেন। সেই দল কাজ করবে। আর আমি রাজনীতিতে যখন যোগ দিই, তখন দিদি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়)কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমি কি ক্রিকেটটা খেলতে পারব? দিদি বলেছিলেন, কেন পারবে না!”

এক নিঃশ্বাসে বলছিলেন বাংলার তারকা ক্রিকেটার। এখন শুধু বিধায়ক বা ক্রিকেটার নয়, দায়িত্ব রাজ্যের মন্ত্রিত্বও। ক্রীড়াবিভাগ। সেই কাজেও কোনও অসুবিধা হবে না বলে আশ্বাস মনোজের। রাজনীতিতে চলে এসেছেন। এখন জনপ্রতিনিধি।ফিটনেস-রোজ ট্রেনিংয়ের থেকে অনেক দূরে থেকে অন্য জীবন কাটাতেই পারতেন মনোজ! কেন ফের ক্রিকেট। মনোজ জানালেন, “রঞ্জি ট্রফি। ওটাই আমার মোটিভেশন। বাংলা অনেকদিন রঞ্জি জিততে পারেনি। আমিও বাংলার হয়ে কোনওদিন রঞ্জি জয়ের স্বাদ পাইনি। ওটাই ফের বাংলার জন্য খেলার মোটিভেশন তৈরি করে দিচ্ছে।”