দীপঙ্কর ঘোষাল
আর একটা রাত। বৃহস্পতিবার ইডেনে শুরু রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল। ঘরের মাঠে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নামছে বাংলা। ম্য়াচের আগের দিনের অনুশীলনে দেখা গেল মজার দৃশ্য। বাংলা দলের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। সৌরাষ্ট্র তখনও প্র্য়াক্টিস করছে। এরপরই দেখা গেল সৌরাষ্ট্র এবং বাংলার অধিনায়ককে এক ফ্রেমে। মনোজ তিওয়ারি এবং জয়দেব উনাদকাট দীর্ঘসময় কথা বললেন, নানা বিষয়ে আলোচনা করলেন। হাসি মুখ বজায় থাকল। কী কথা হয়েছিল তাদের! হাসির কারণও ফাঁস করলেন বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। এরপরই বললেন, জয়দেবকে চেনেন না! বিস্তারিত Tv9Bangla-য়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেট। এমনকী আইপিএলের মতো ফ্র্য়াঞ্চাইজি লিগও। মাঠের বাইরে ক্রিকেটারদের মধ্য়ে দুর্দান্ত সম্পর্ক থাকে। কিন্তু ম্য়াচের সময় একে অপরের প্রতিপক্ষ। কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। মনোজ এবং জয়দেব উনাদকাটের ক্ষেত্রেও ঘটনাটি তেমনই। বাংলার প্রস্তুতি শেষে মনোজ আর জয়দেব উনাদকাটকে হাসি মুখে বেশ খানিকটা সময় কাটাতে দেখা গেল। তবে ম্য়াচে মনোজ জয়দেব কেন, প্রতিপক্ষর কাউকেই চিনবেন না। হাসির কারণ সম্পর্কে খোলসা করলেন বাংলা অধিনায়ক। বলছেন, ‘আমি প্র্যাক্টিস করে যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছিলাম, ও তখন মন্ত্রী… মন্ত্রী… বলে ডাকছিল। তখন আমি গিয়ে কথা বলি। জয়দেব আমার ছোট ভাইয়ের মতো। আমি যখন খেলা শুরু করি, তখন থেকেই পরিচয়। ও একটু জুনিয়র। তবে সম্পর্কটা রয়ে গিয়েছে। টিমে যখন একসঙ্গে খেলতাম, এক রুমে প্লে-স্টেশন খেলতাম। সে কারণেই একটু সৌজন্য় সাক্ষাৎ ছিল। আমরাও হাসি মুখে কথা বলছিলাম।’
এরপরই বাংলা অধিনায়ক আরও যোগ করলেন, ‘মাঠের বাইরে সকলের সঙ্গেই বন্ধুত্ব রেখে যেতে হবে। তবে কাল থেকে আমরা আবার নির্মম হয়ে যাব। কাল যখন মাঠে নামব, জয়দেবকে আমি চিনি না। সেমিফাইনালে মধ্য়প্রদেশের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। প্রতিপক্ষ কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত থেকে শুরু করে অনেকের সঙ্গেই দীর্ঘদিনের চেনা। তবে আমি-লক্ষ্মী ভাই দু-জনেই একটা বিষয়ে কড়া ছিলাম, ম্যাচের ক’দিন আমরা প্রতিপক্ষর কাউকে চিনি না। সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফাইনালেও একই মানসিকতাই নিয়েই নামব।’