
নয়াদিল্লি: ভারতীয় পিচ শুধু স্পিন সহায়ক, এমনটা মোটেও মনে করেন না টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার মহম্মদ সামি। নাগপুর টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় স্পিনারদের দাপট দেখা গিয়েছিল ঠিকই। পরের টেস্টেই অর্থাৎ বর্ডার গাভাসকর ট্রফির (Border Gavaskar Trophy) দ্বিতীয় টেস্টে স্পিনার ও পেসারদের মিলিত দাপট দেখা গেল। প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনই শেষ হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। মহম্মদ সামি (Mohammed Shami), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজাদের দাপটে ২৬৩ রানে গুটিয়ে যায় অজিরা। টিম ইন্ডিয়ার (Team India) হয়ে সর্বাধিক ৪টি উইকেট নেন তারকা পেসার মহম্মদ সামি। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে কী বললেন সামি, বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
ভারতের পিচ স্পিন সহায়ক। বিদেশি ক্রিকেটাররা প্রায়শই এই কথাটা বলেন। টিম ইন্ডিয়ার স্পিনিং ট্র্যাকের সামনে পড়লে তাদের নাকানিচোবানি খেতে হয়। চলতি বর্ডার গাভাসকর ট্রফির আগেও এই কথাটাই বার বার বলে আসছিল অজি শিবির। স্পিনারদের পাশাপাশি কিন্তু পেসাররাও ভারতের মাটিতে জ্বলে উঠতে পারেন। দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে সেটাই প্রমাণ করলেন মহম্মদ সামি। সঠিক জায়গায় বল করাটাই আসল কাজ। আর তা করেই অজিদের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে সাফল্য পেয়েছেন সামি। ম্যাচের পরে প্রেস কনফারেন্সে মহম্মদ সামি বলেন, “ভারতের উইকেট যেমন দেখায় তার থেকে অনেক আলাদা। যদি নতুন বলে কোনও বোলার সাহায্য পায় তাহলে পুরনো বলে রিভার্স স্যুইপ করেও সাহায্য পাবে। জোরে বোলার হিসেবে আসল জিনিসটাই হচ্ছে সঠিক জায়গায় বল করা এবং পেস ধরে রাখা।”
সামি আরও বলেন, “এখানে অর্থাৎ দিল্লির পিচের সঙ্গে নাগপুরের পিচের পার্থক্য নেই। আমি সব সময় সঠিক জায়গায় বল করার চেষ্টা করে গিয়েছি। তবে পিচের দুই প্রান্তে অনেক পার্থক্য ছিল। ভারতীয় উইকেট কিছুটা ধীর গতির হলেও পেসারদের জন্যও এখানে অনেক সুবিধা আছে।”
সামির কথায় দেশের মাটিতে কীভাবে সফল হতে হয়, তার পাঠ রয়েছে ভারতীয় বোলারদের। সামি বলেন, “আমরা সবাই ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে এসেছি। সব ফাস্ট বোলারই ভালো পারফর্ম করেছে এবং সকলেই জানে কীভাবে দেশের মাটিতে পারফর্ম করতে হয়। তাই ভারতের পরিবেশ স্পিনার বা পেসারদের জন্য বেশি মানানসই এমনটা বলা ঠিক হবে না।”