MS Dhoni: প্লেনের উইন্ডো সিটে ২০ বছর পর দেখা প্রতিবেশীর সঙ্গে

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Sep 24, 2023 | 12:02 AM

সম্প্রতি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির এক ভক্ত তাঁর ইন্সটাগ্রামে মাহির সঙ্গে খান তিনেক ছবি শেয়ার করেছেন। একইসঙ্গে ধোনির সঙ্গে কাটানো আড়াই ঘণ্টার যে অভিজ্ঞতা তা তুলে ধরেছেন। ঘটনাচক্রে ধোনির ওই ভক্ত (Fan) আবার তাঁরই প্রতিবেশী। অবশ্য প্রতিবেশী তো কী, ধোনির সঙ্গে তাঁর ওই ভক্তর দেখা হয়েছে বছর কুড়ি পর।

MS Dhoni: প্লেনের উইন্ডো সিটে ২০ বছর পর দেখা প্রতিবেশীর সঙ্গে
MS Dhoni: প্লেনের উইন্ডো সিটে ২০ বছর পর দেখা প্রতিবেশীর সঙ্গে
Image Credit source: Twitter

Follow Us

রাঁচি: ‘আমি আমার জীবনের সেরা আড়াই ঘণ্টা কাটালাম…’ এই কথাগুলো লেখার সময়ও হয়তো চোখ ছলছল করছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) এক ভক্তর। হয়তো তাঁর ঠোঁটের কোণায় ছিল হালকা একটা হাসি। আর এমনটা হলে অস্বাভাবিক কিছু নয়। সম্প্রতি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির এক ভক্ত তাঁর ইন্সটাগ্রামে মাহির সঙ্গে খান তিনেক ছবি শেয়ার করেছেন। একইসঙ্গে ধোনির সঙ্গে কাটানো আড়াই ঘণ্টার যে অভিজ্ঞতা তা তুলে ধরেছেন। ঘটনাচক্রে ধোনির ওই ভক্ত (Fan) আবার তাঁরই প্রতিবেশী। অবশ্য প্রতিবেশী তো কী, ধোনির সঙ্গে তাঁর ওই ভক্তর দেখা হয়েছে বছর কুড়ি পর। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।

চন্দন সিনহা। তিনি ধোনি ভক্ত। তাঁর বাড়ি রাঁচিতে। কিন্তু তারপরও ধোনির সঙ্গে এর আগে চন্দনের কোনও দিন দেখা হয়নি। সম্প্রতি ইন্সটাগ্রামে চন্দন নিজেই ধোনির সঙ্গে তাঁর প্লেনে পাশাপাশি বসে আড়াই ঘণ্টা গল্প করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। মুম্বই থেকে রাঁচি যাওয়ার বিমানে ধোনির সঙ্গে দেখা হয় চন্দনের। তিনি উইন্ডো সিটে বসেছিলেন। যা ছিল ধোনির। বিমান চালু হওয়ার আগে ধোনি এসে যখন জানান, ওই সিটটি তাঁর ততক্ষণাৎ চন্দন তাঁকে সিটটি ছেড়ে দেন। এরপর যে সময়টা তিনি ধোনির সঙ্গে কাটিয়েছেন, তা রীতিমতো স্বপ্নের মতো চন্দনের কাছে।

ইন্সটা পোস্টে চন্দন লিখেছেন,

তাঁর বাড়ি এক কিলোমিটারেরও কম যেখানে আমি ২০ বছর থাকতাম। আমাদের শহরের গর্ব। ওনার একজন বিরাট ভক্ত আমি। তবুও কখনও তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়নি। কিন্তু ঈশ্বর সব পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। কে জানত যে শেষ মিনিটে বিমানের আসন ছেড়ে দেব আমি ধোনিকে! তখনও জানতাম না যে, আমার ভক্ত জীবনের সেরা আড়াই ঘন্টা হয়ে উঠবে এই সফরের সময়টা।

আমি উইন্ডো সিটে বসেছিলাম। একটু পরেই একটা পরিচিত কন্ঠ শুনতে পেলাম। যে আমাকে তাঁর জানালার সিটে যেতে দিতে বলছে। মাহির সঙ্গে এই ভাবে যে দেখা হবে, তা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। তখন আমার একটি দীর্ঘদিনের স্বপ্ন সত্যি হয়েছিল।

ঠিক কী ঘটছে, তা বুঝতে আমার এক মুহূর্ত লেগেছিল। তিনি এতটাই নম্র যে ওই মুহূর্তটিকে আরও অবিশ্বাস্য করে তুলেছিল। আমরা একই শহরের বাসিন্দা শুনে তিনি ফ্লাইট চলাকালীন অল্প বিশ্রাম না নিয়ে আমার সঙ্গে গল্প করা শুরু করেন। আমাদের দুই ঘণ্টার আকর্ষণীয় কথোপকথন হয়েছিল। জীবনের পাঠ থেকে নানা বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেন।

তাঁর প্রিয় রান্নার কথা শেয়ার করা থেকে শুরু করে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা পর্যন্ত জানান আমাকে। রাঁচির প্রতি তাঁর ভালোবাসা, অটোমোবাইলের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথাও বলেন। শহরে যখন থাকেন তিনি প্রতিদিন সকালে তার মেয়েকে স্কুলে দিতে যান। তাঁর এইরূপ শান্ত আচরণ আবার প্রমাণ করল কেন আমরা তাঁকে ক্যাপ্টেন কুল বলি।

Next Article